জীবননগরে প্রতিপক্ষ ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই গ্যাঁড়াকলে

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: প্রতিপক্ষকে ছিনতাই মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে অভিযোগকারী নিজেই ফেঁসে গেছেন। গত বুধবার জীবননগরের ডুমুরিয়া গ্রামের সাব্দার রহমান পুলিশের নিকট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মারধর করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নেয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এ অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মিথ্যা ছিনতায়ের নাটক সাজিয়ে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ হয়রানী করার অপরাধে অভিযোগকারী দুই সহোদরকে পুলিশ আটক করেছে। শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্প গারদ খানায় মিথ্যা অভিযোগকারী দুইভাইকে দীর্ঘ দুই ঘন্টা আটক রাখার পর অবশেষে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী সাব্দার রহমান (৫০) ও তার সহোদর আব্দুল মোমিন (৪৫) গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দেহাটি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেনাগাড়ি স্কুলের সামনে পৌঁছুলে জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে রাজুসহ (৩০) আরো অজ্ঞাত ৪ জন তাদের মারধোর করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের নিকট গরু ব্যবসায়ী সাব্দার রহমান এ নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগ পেয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের নির্দেশে শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জমির হোসেন ও টুআইসি এএসআই সাহাবুদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে ছিনতাইয়ের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পুলিশ অভিযোগকারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করার কথা অকপটে স্বীকার করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ হয়রানী করার অপরাধে রাত ৯টার দিকে সাব্দার রহমান ও তার ভাই আব্দুল মোমিনকে আটক করে। আটককৃত দুইভাইকে শাহাপুর ক্যাম্পের গারদ খানায় দীর্ঘ দু’ঘন্টা আটক রাখার পর অবশেষে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে রাত ১১ টার দিকে মুচলিকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন।

Comments (0)
Add Comment