ঝিনাইদহে পৃথক স্থানে সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: মায়ের মৃত্যুর পর ও ছেলে দুজনেই সাপের দংশনে মারা গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ মহেশপুর এলাকায়। গতকাল সোমবার রাতে শাওন (১৭) ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। এসময় তাকে বিষধর সাপে কেটে দেয়। সে মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের নুর চাঁদের পালিত সন্তান। মাত্র ১৭ বছরের ব্যবধানে মা ও ছেলে দুজনে সাপের কামড়ে মারা গেলো। প্রতিদিনের ন্যায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন শাওন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপে কামড় দেয় শাওনকে। তাকে প্রথমে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বাগানমাঠ কবিরাজের বাড়ীতে নিয়ে গেলে কবিরাজ শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিজ বাড়ীতে আবারও কবিরাজ দিয়ে চলে ঝাড়ফুক। একপর্যায়ে মঙ্গলবার ১০টার দিকে কবিরাজ মৃত ঘোষণা করে চলে যান। শাওনের বাবা নুর চাঁদ জানান, ১৭ বছর পূর্বে শাওনের বয়স যখন সাড়ে ৩মাস তখন শাওনের মা জরিনা বেগম সাপের কামড়ে মারা যায়।
এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সাপের কামড়ে আশা মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত আশা ওই গ্রামের মাসুম মিয়ার ছেলে। সে গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। গোপালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আশা। রাত ১২ টার দিকে বিষধর সাপ তাকে ছোবল দেয়। শরীরে জ্বালা যন্ত্রনা শুরু হলে পরিবারের লোকজনকে ডাকে। প্রথমে তাকে স্থানীয় ওঝাদের কাছে ঝাঁড়-ফুক করানো হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

Comments (0)
Add Comment