ঝুপড়ির ওপর তৈরী ঝুপড়িতে দিন কাটছে মিশনপল্লির বিফল ঘরামি

রতন বিশ্বাস: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার মিশনপল্লির ক্যাথলিক গির্জার নদীর ঠিক কুল ঘেঁষে অবস্থিত ঝুপড়ি ঘরে মাথাগোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে বিফল ঘরামি। ভাঙা বেড়া এবং পলিথিনে মোড়ানো ছোট্ট একটি ঘরের ওপর আরেকটি তৈরী ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর বসবাস এ পরিবারটির। বিফল ঘরামি মিশনপল্লির মৃত টুটু ঘরামির ছেলে। ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ১ কাঠা জমির ওপর ঝুপড়ি ঘরে তার বসবাস। অভাবের পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। বিফল ঘরামির সংসার চলে ভাংড়ির ব্যবসা করে। নিজের কৃষি জমি না থাকায় কোনোমতে ব্যবসা করে চলে তাদের দিন। তাই জমি কিনে কোথাও ঘর করার মতো ব্যবস্থা নেই তাদের। স্ত্রী, ৪ সন্তান নিয়ে তাদের থাকার মতো ছোট ওই ঘরে নেই পর্যাপ্ত জায়গা। এজন্য ঝুপড়ি ঘরের ওপর ছোট্ট আরেকটি ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করেন তারা।

অসহায় বিফল ঘরামি জানান, ১ কাঠা জমির ওপর ১টি ঝুপড়ি ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা না থাকায় সেই ঘরের ওপর বাঁশ কাবারি দিয়ে আরেকটি ঘর তৈরী করে বসবাস করছি। নিচের ঘরের ভেতরেই টিউবওয়েল রয়েছে। ঘরের পাশে যেটুকু জমি রয়েছে ভাইয়েরা বসবাস করে। ছোট্ট এ ঘরে এতজন থাকার মতো অবস্থা নেই। সন্তানরাও বড় হয়েছে, তাদের জন্যেও আলাদা ঘর প্রয়োজন। এছাড়া ঝড়বৃষ্টি এবং শীতের সময় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টিতে পানি ঢোকে। কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের সমাজ সচেতন ব্যক্তি মনোয়ার হোসেন জানান, মিশনপল্লির ক্যাথলিক গির্জার পাশে ভৈরব নদীর ঠিক কুল ঘেঁষে অবস্থিত বিফল ঘরামির ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর বসবাস। এ পরিবারটিকে নিয়ে আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। ঝুপড়ি ঘরের ওপর ঘর বানিয়ে কোনমতে বসবাস করছেন তারা। সরকারিভাবে তাদের সাহায্য প্রয়োজন। ভাংড়ির ব্যবসা করে কোনোভাবে ডাল-ভাত খেয়ে জীবন পার করছেন তারা। ঘর করার মতো কোনো অর্থ নেই।

Comments (0)
Add Comment