তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের সুসজ্জিত নান্দনিক সৌন্দর্য মন কাড়ছে সকলের 

লাবলু রহমান: চুয়াডাঙ্গা জেলা ৪টি উপজেলা ও ৫টি থানার সমন্বয়ে গঠিত। জেলার ৬নং তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার অন্তর্ভুক্ত। তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের আয়তন হলো ৪৭ বর্গ কিলোমিটার। পরিষদটি স্থাপিত হয় ১৯৬২ সালে জেলা সদর উপজেলার অর্ন্তগত তিতুদহ বাজারের নিকট। প‚র্বে ঝিনাইদহ জেলা, দক্ষিণে জীবননগর উপজেলা উত্তরে কুতুবপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে নিজ জেলা সদর। ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত জায়গা চতুর্দিক ঘিরে মিনি পার্কের ন্যায় তৈরি করা হয়েছে। রুচিসম্মত ও মানসম্মত নান্দনিক ইউনিয়ন পরিষদ তৈরির পেছনে যে ব্যক্তির অবদান অনস্বীকার্য তিনি এই পরিষদের সচিব জিয়াউর রহমান। সময় পেলে দেখভাল ও পরিচর্যা করেন নিজ হাতে। মনোরম পরিবেশের তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঢুকতেই মন প্রাণ সতেজ হয়ে ওঠে। অবসর সময় পার করতে অনেকেই ঘুরতে ও ফটোসেশনের জন্য আসেন এখানে। প্রবেশ করতে বামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল যেখানে সন্নিবেশিত রয়েছে জাতির স‚র্য সন্তান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ জন বীরসেনানীদের নাম। ডানপাশে সীমানার মধ্যে রয়েছে বাহারি রঙের ফুল। ফুল ভালবাসে না এমন মানুষের নজির নেই। মাঝে মাঝে রসুন পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। যেমন ক্যালেন্ডিনা, ডালিয়া, গোলাপ, গাদা, রংগন, জবা, ডেইজি, জারবেরা, রেইন লিলি, মল্লিকা, টগর, তারা ফুল, ক্যাকটাস, পাতাবাহার, টাইমফুল, পিটুনিয়াসহ নানা ধরনের বিদেশী ফুল। এমন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের সৌন্দর্যে বিমোহিত এলাকার মানুষ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। জেলার সর্বোচ্চ কর্তা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভ‚ইয়া স্বয়ং এই পরিষদের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন।

এ বিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের রুপকার ইউপি সচিব জিয়াউর রহমান বলেন, ম‚লত ফুলের বাগান আমার এক প্রকার শখ। এই ইউনিয়ন পরিষদে আমি দীর্ঘদিন চাকরি করছি। নিজের পরিবার পরিজনের চাইতে অধিকাংশ শ্রম ও সময় আমি এখানেই অতিবাহিত করি। অনেকটা নিজের পরিবার মনে করে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত জায়গা যথাযথ ব্যবহার করে আমি ফুলের বাগান তৈরি করেছি। যেখানে দেশী বিদেশি নানারকম ফুলের গাছ রয়েছে। অনেক দর্শনার্থীরা অবসর সময়ে এখানে আসেন এবং ছবি তোলেন। এটা আমার কাছে অনেক আনন্দের। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের বড় প্রাপ্তিতা হলো মানুষ, সমাজ ও দেশের জন্য কিছু করা। আমি হয়তো একদিন থাকবো না কিন্তু আমার ভালো কাজের জন্য তাদের স্মৃতির পাতায় এখানকার মানুষ আমাকে মনে রাখবে। তবে আমার এ কাজে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছেন প্রশাসক আব্দুল হান্নান। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ইউনিয়ন পরিষদের সৌন্দর্যের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভ‚ইয়া বলেন, চোখ ও মন জুড়ানো অপরুপ সৌন্দর্যের তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর। ফুল হলো সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টি, যা পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলে। অপরদিকে, সন্ধ্যার পরপর রঙিন আলোর ঝলকানিতে পরিষদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে। ইউনিয়ন পরিষদে আগত তরুণ সেবা প্রত্যাশীরা তাদের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। প্রতিদিনই ব্যস্ত থাকে সেলফি উঠানোর কাজে। তবে স্থানীয়দের দাবি চুয়াডাঙ্গা জেলার সবচেয়ে নান্দনিক পরিবেশের মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হলো এই তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ। যেখানে এলে মানুষের মন কাড়ে এর অপরুপ সৌন্দর্যের জন্য।

Comments (0)
Add Comment