দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গরুর কৃত্রিম প্রজনন (সিমেন) দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে আলমঙ্গীর হোসেন নামে এক এ আই কমির ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা সহসারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতে এই জরিমানা করেন। এ আই কর্মি আরমঙ্গীর হোসেন দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাদরাসা পাড়ার মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদার জয়রামপুর বারুইপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাজমা খাতুনে গরুর খামার রয়েছে। তার খামারে ৪টি গরু রয়েছে। গত ১৫-৬- ২৫ তারিখে তার একটি গরুর ডাক আসলে তিনি এ আই কর্মি আলমঙ্গীর হোসেরে সরনাপন্ন হয়। এ সময় এ আই কর্মি এসময় তার নিকট থেকে ২১০টার সিমেন ১হাজার ৫০০টাকা নেয়। এরপরে তার ওই সিমেনে ডাক না দাড়ালে পরবর্তিতে আবারো ওই একই এ আই কর্মির সরনাপন্ন হয়। এবার তিনি ওই গরুর ভালো জাতের সিমেন দেওয়ার কথা বলে ২হাজার ৫০০টাকা নেই তাতে ও কাজ না হলে তিনি ৫হাজার একশত টাকা দাবী করেন। পরবর্তিতে ভুক্তভুগি নাজমা খাতুন গতকাল ৩০ জুন সোমবার উপজেলা অতিরিক্ত অর্থ চাওয়ায় প্রণীসম্পদ অফিসার নিলিমা আক্তার হ্যাপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আদালত বসিয়ে সাক্ষ্য প্রমান শেষে অভিযুক্ত এআই কর্মি আলমঙ্গীর হোসেন কে প্রতিশ্রুত যথাযত সেবা প্রদান করতে না পারায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় তাকে অভিযুক্ত করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা,নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন কৃত্রিম প্রজনন (সিমেন) এর সরকার নিধারিত মৃল্য ২১০ টাকা এর সাথে কিছু বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, প্রতিশ্রুত যতাযত সেবা দিতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুমি অফিসের আরিফুল ইসলাম,আনিছুর রহমানসহ প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।