স্টাফ রিপোটার: দামুড়হুদা উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ ব্যবহার। অনেকটা প্রকাশ্যেই বেচা-কেনা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশী আসক্ত হচ্ছে দেশী, বিদেশী বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যে। মাদকের অপব্যবহারের ফলে ঘটছে চুরি, ছিনতাই সহ অপরাধমূলক কর্মকা-। তবে এ বিষয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাদক দ্রব্যের বেচা-কেনা। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আগামী প্রজন্ম। মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় বেশী ঝুকিতে পড়ছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। জেলার দামুড়হুদা-দর্শনা থানা এলাকা দুটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় এ এলাকা দুটিতে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে নিত্যদিন। এ দুটি থানার সীমানা সীমান্তবর্তী হওয়ায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে চোরাকারবারিরা মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদক বিক্রির বিভিন্ন পয়েন্টে। সে সব পয়েন্ট থেকে নির্বিঘেœ বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। এসব মাদকদ্রব্যের বেচা-বিত্রুির শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় হিরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, ও ইয়াবা ট্যাবলেট। এসব মাদকদ্রব্য সেবন করতে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে মাদকের স্পটগুলোতে ছুটছে মাদক সেবীরা। মাদকদ্রব্য বিক্রির খোলামেলা স্পটগুলোর শীর্ষে রয়েছে দামুড়হুদা থানাধীন, মুন্সিপুর-কুতুবপুর, হুদাপাড়া, পীরপুরকুল্লা, জাহাজপোতা, জয়রামপুর, দামুড়হুদা স্ট্রেডিয়ামপাড়া, পাইলট হাই স্কুল মাঠ, দর্শনা থানাধীন স্পটগুলো হলো শান্তিপাড়া, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, আকন্দবাড়ীয়া, কামারপাড়া বাড়াদি, নাস্তিপুর, সুলতানপুর, ঝাঝাডাঙ্গা, বলদিয়া, ঠাকুরপুর, চাকুলিয়া। এসব মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকসহ সচেতন মহল। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে আনা এসব মাদকদ্রব্য থেকে আগামীর প্রজন্মকে রক্ষা করতে চুয়াডাঙ্গা জেলায় নিযুক্ত সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক সহ সচেতন মহল।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি’র সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।