ধর্ষণের পর ‘পাক-পবিত্র’ হওয়ার কথা বলে মাদরাসাশিক্ষক উধাও!

ধর্ষণের পর পাক পবিত্র হওয়ার কথা বলে মারাসা শিকক্ষক সটকালেও শেষ রক্ষা হয়নি। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেতারকৃত আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদরসা ও এতিমখানার শিক্ষক। শ্রীফলকাটি গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে। বুধবার আব্দুল মজিদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই রাতেই উপজেলার পাউখালি মাহবুবা রাজ্জাকিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রী শ্যামনগর উপজেলার অন্য একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।
ছাত্রী জানায়, মাদরাসাশিক্ষক আব্দুল মজিদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পবিত্র রমজান মাসে তাকে বিয়ে করবে বলে গত ১৭ এপ্রিল তাকে ওই মাদরাসায় ডেকে নেন আব্দুল মজিদ। রাতে বিয়ে হবে, এমন কথা বলে তাকে শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেয়া হয়। পরে সেখানে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে ওই মাদরাসাশিক্ষক। সকালে ওই মাদরাসাছাত্রীকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে কালিগঞ্জের গড়ের হাট নামক নির্জন স্থানে নামিয়ে দেয়। এ সময় মাদরাসাশিক্ষক পাক-পবিত্র হয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়। পরে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল মজিদ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। উপায়ান্তু না দেখে ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই রাতের ঘটনা তার মা-বাবাকে বলে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ওই মাদরাসাশিক্ষককে বুধবার দুপুরে আদারতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment