প্রবাসী স্বামীর দেশে ফেরার সংবাদে স্ত্রী …………..

জীবননগর ব্যুরো: স্বামী প্রবাস জীবন থেকে বাড়ি ফিরছেন এমন কথা জানার পর স্বামীর ট্রাকসহ যাবতীয় অর্থ লোপাটকারী স্ত্রী নার্গিস খাতুন (৩০) স্বামীর বাড়িতে তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়েছে। কেবল তালাকনামা পাঠিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি; তালাক দেয়া স্বামীকে বেকায়দায় ফেলতে তার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে মামলা। বেচারী স্বামী আনোয়ার হোসেন (৩৫) স্ত্রী ও তার নিকট সঞ্চিত অর্থ পেতে পৌরসভাসহ সমাজপতিদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে জীবননগর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মিলপাড়ায়। স্ত্রী নার্গিস অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে আনোয়ার হোসেন ১৪ বছর পূর্বে তার মামাতো বোন জীবননগর পৌর এলাকার লক্ষ¥ীপুর মিলপাড়ার তাহের ফকিরের মেয়ে নার্গিস খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের দু’বছরের মাথায় ভাগ্যের চাঁকা ঘোরাতে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে তিনবছর কাজ করার পর পরবর্তীতে তিনি দুবাই চলে যান। স্ত্রী নার্গিস পিত্রালয়ে থাকতেন। প্রতি বছর তিনি বাড়ি আসার পর শ^শুর বাড়ি যাতায়াত করতেন। বিদেশে অর্জিত সব অর্থ তিনি স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে পাঠাতেন। বিদেশ থাকাকালে নার্গিসের নামে একটি ট্রাক কিস্তিতে কিনে দেই। আমি বিদেশ হতে ওই ট্রাকের কিস্তি পরিশোধ করি। পরবর্তীতে জানতে পারি স্ত্রী তাকে না জানিয়ে ট্রাক বিক্রি করে দিয়েছে। সম্প্রতি দুবাই থেকে দেশে আসছি এমন কথা স্ত্রীকে জানাই। এ কথা জানানোর পর তিনি আমাকে তালাক দিয়ে তালাকনামা আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। বিদেশ হতে পাঠানো আমার অর্ধ কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করে আমাকে পথের ফকির করে দিয়েছে। এরপরও তিনি অর্থ ও স্ত্রীকে ফেরত পেতে জীবননগর পৌসভায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু নার্গিস হাজির না হয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুকের মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গৃহবধূ নার্গিস খাতুন জানান, স্বামী প্রবাসে থাকাকালে অপর এক প্রবাসীর বোনকে বিয়ে করে। এখন সে আমার সাথেও সংসার করবে এটা হতে পারে না। এছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে যে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। সে সব মিলিয়ে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৩ লাখ টাকা পাঠায়। এর মধ্যে থেকে তার মাতা-পিতাকে ৭ লাখ টাকা খরচের জন্য দিয়েছে আর বাকী টাকা আমি খরচ করেছি। ট্রাক বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা আছে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment