মুজিবনগরের সরস্বতী খাল এখন ময়লার ভাগাড়

প্রতিকারের কোন উদ্যোগ না থাকায় হতাশায় ভুক্তভোগীরা

মুজিবনগর প্রতিনিধি: পুনর্খনন করার পরও মেহেরপুরের মুজিবনগরের সরস্বতী খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কিছু মানুষের পরিবেশ বিরুদ্ধ আচরণ আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতায় আবারও ভরাট হতে চলেছে মুজিবনগরের প্রাণকেন্দ্রের এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি।

জানা গেছে, কেদারগঞ্জ বাজারের চৌরাস্তার পশ্চিম দিক দিয়ে সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে সরস্বতী খালটি এলাকায় প্রবেশ করেছে। ওই মাঠের চাষাবাদ ছাড়াও এলাকার পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় খালটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগুরুত্ব বিবেচনায় খালটির বেশ বড় অংশ পুনর্খনন হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু খালটির কেদারগঞ্জ বাজারের পাশের অংশ এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এর উত্তর পাশে কেদারগঞ্জ বাজারের জামে মসজিদ। ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করেই মুসল্লিদের এ মসজিদে নামাজের জন্য প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করতে হয়। দীর্ঘদিন যাবত এভাবে খাল পাড়ে ময়লা ফেলা হলেও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি ময়লার ভাগাড়ের এক অংশে মাটি ভরাট করে পরিবেশ বান্ধব অস্থায়ী দোকান করে। কেদারগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও বাজার মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ওই ব্যক্তির দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য গণস্বাক্ষর করে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা উচ্ছেদ করে। কিন্তু ময়লা ফেলা বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের কোন ভূমিকা না থাকায় হতাশার কথা বলেছেন অনেকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে খাল পুনর্খনন করেছে। কিন্তু এভাবে যদি সারাবছর ময়লা ফেলা হয় তাহলে খাল আগের জায়গায় ফিরে যাবে। প্রতিনিয়ত ময়লা ফেলার ফলে খালের পানি ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এভাবেই একসময় ভরাট হয়ে খালটি এলাকার আর্শিবাদের পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হবে।

কেদারগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক রেজাউল হক বলেন, আমি নিজেই পদক্ষেপ নিয়ে আগুন দিয়ে অনেক ময়লা পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া বেশ আগে থেকেই এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। আমি নতুন কমিটিতে এসে এখানে আর ময়লা আবর্জনা ফেলতে দিইনি। পুরনো রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে একটি বড় গর্ত আছে যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কেদারগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, মসজিদের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলায় মুসল্লিদের কষ্ট করতে হচ্ছে। পুরানো ময়লা আবর্জনা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল তারপরেও আবার দেখি আগের অবস্থা।

Comments (0)
Add Comment