লক্ষাধীক টাকা আক্কেল সেলামি গুনলেন বকুল

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ফরিদপুরে এক শিক্ষার্থীর রুমে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা আক্কেল সেলামি দিতে হয়েছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু মিয়ার ছেলে বকুলকে। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
গ্রাম ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু মিয়ার ছেলে ১ সন্তানের জনক বকুল হোসেনের (৪৫) কান্ডে এলাকায় রসাত্মক আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই দিচ্ছেন ধিক্কার। গত বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর গ্রামের কারিগরপাড়ার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। সেই অপেক্ষায় ছিলেন বকুল হোসেন। তিনি সেই সুযোগে কিশোরীকন্যার রুমে প্রবেশ করে খাটের ওপর বসেছিলেন। কয়েক মিনিট পরে কিশোরীকন্যা তার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে গিয়ে দেখতে পান বখাটে বকুল হোসেনকে। ওই সময় কিশোরীকন্যা চিৎকার দিলে পাশের রুম থেকে মা-বাবা ও ভাই ছুটে আসে। ঘর খুলতে বললে বকুল ছাত্রীকে ভয় দেখায়। পরে ছাত্রীর ভাই কৌশলে ঘরের আড়া বেয়ে ওই রুমে প্রবেশ করেন। তারা বকুলকে ঘরে আটকে প্রতিবেশীদের ডাক দেন। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলে বকুল হোসেনকে গণপিটুনি দেয়। পরে ভোরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় বকুলকে।
এদিকে, প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান বকুলকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে টাকার প্রলোভন দেখানো হয়। টাকার প্রলোভনে পড়ে গ্রামের কিছু ব্যক্তি দালালি শুরু করেন। তারা বিষয়টি টাকায় মীমাংসা করতে নানাভাবে চাপ ও তদবির শুরু করেন। এক পর্যায়ে কিশোরীকন্যার পিতা শহিদুল ইসলামের হাতে ৭০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়।
গ্রামের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধু মেয়ের পিতাকেই টাকা দিতে হয়নি, দিতে হয়েছে গ্রামের কিছু ব্যক্তি ও অন্যান্য কয়েক খাতে। সব মিলিয়ে সোয়া লক্ষাধিক টাকা আক্কেল সেলামি দিতে হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। গ্রামের অনেকে অভিযোগ করেছেন বকুল হোসেনের চরিত্র নিয়ে। বকুল প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে গ্রামেই আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কয়েক বছর পূর্বে। এপক্ষে তাদের দাম্পত্যে এক সন্তান রয়েছে। সন্তানসহ ২য় স্ত্রীকে এখনও ঘরে তোলেননি। ফেলে রেখেছেন শ্বশুরবাড়ি।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, মেয়ের অভিভাবক অভিযোগ করতে সম্মতি না হওয়ায় এ ঘটনায় মামলা নেয়া সম্ভব হয়নি।

Comments (0)
Add Comment