সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার সড়কে ঝরলো আরও দুটি প্রাণ

 সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার সড়কে ঝরলো আরও দুটি প্রাণ। আজ রোববার পৃথক সড়ক ‍দুর্ঘটনায় এ জেলায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।

সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সোহাগ হোসেন নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত সোহাগ হোসেন (২৮)ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। অপরদিকে, দুপুরে চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় রাস্তা পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তাহাজ উদ্দীন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত ওই বৃদ্ধের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সকালে ধানের বিচুলি বিক্রি করে লাটাহাম্বাযোগে (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান)মেহেরপুর থেকে ঝিনাইদহের মহেশপুর যাচ্ছিলেন চালক সোহাগ হোসেন। এসময় সকালের নাস্তা করতে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রাবিরতি করেন তিনি। নাস্তা শেষে লাটাহাম্বায় উঠেন তিনি। পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তার লাটাহাম্বাটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন লাটাহাম্বা চালক সোহাগ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তাহাজ উদ্দীন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। দুপরে হাতিকাটা বাজারে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হাতিকাটা বাজারে রাস্তা পার হওয়ার সময় মেহেরপুরগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাহাজ উদ্দীনকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ওই বৃদ্ধের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তবে, তার কাছে থাকা সদর হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র থেকে তার নাম জানা গেছে। তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর ও দর্শনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ঘাতক দুটি বাস ও এর চালকদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে যাত্রীবাহী নৈশকোচের ধাক্কায় ৫ দিনমজুরসহ ৬ জন নিহত হন।

 

 

 

 

Comments (0)
Add Comment