কার্পাসডাঙ্গায় ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম করে প্রতারণার অভিযোগ

কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় ফেসবুকে পরিচয় তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক তৈরি ও ঘনিষ্ঠতা এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ার হারুন সরকারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হারুন ম-লের বিরুদ্ধে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী যুবতীর পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ার সুদিন সরকারের ছেলে হারুন সরকার মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের এক যুবতীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় শেষে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই যুবতীর বাড়িতে হারুন ম-ল আসা-যাওয়া করতে থাকে কয়েক বছর। প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত হারুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যুবতী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ কয়েকবছর কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লির হারুন সরকারের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক সকলেই জানে। হারুন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সম্পর্কের প্রথম থেকে। আমি ঢাকাতে নার্সিং জব করি। হারুনও ম্যাটসে পড়ালেখা করে। বিয়ের জন্য শেষের দিকে সে জানায় আমাকে বিয়ে করতে হলে তোমার চাকরিটা ছেড়ে দিতে হবে এবং ঢাকা থেকে বাড়ি চলে আসতে হবে। আমি তাকে পাবার আশায় তার কথামতো ঢাকায় ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে আসি। বিয়ের জন্য হারুনের পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলো। সব ঠিকঠাক কিন্তু এখন বলছে আমাকে সে বিয়ে করতে পারবে না। মেয়েটি অভিযোগ করে আরো বলেন, যদি সে আমাকে বিয়ে না করবে তাহলে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে আসতে বললো কেন? আর তাদের পারিবারের লোকজন বিয়ের জন্য আমার বাড়ি কেন গেলো। আমি এর বিচার চাই। বিষয়টি সমাধান না হলে হারুনের নামে মামলা করবো। এদিকে হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক কিন্তু গত ১২ দিন হলো সম্পর্ক আর নেই। আমি ওকে বিয়ে করতে পারবো না। এ বিষয়ে হারুনের বাবা সুদিন সরকারও জানান, আমার ছেলে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না এটাই শেষ কথা।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এসআই আতিকুর রহমান জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েটি ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলো যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার ফাঁড়িতে বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছেলে-মেয়ে উভয়ের পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে বসেছিলাম। ছেলেপক্ষ আরো দুদিন সময় নিয়েছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য।

Comments (0)
Add Comment