চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কুড়লগাছির অতিপরিচিত মুখ শিক্ষক কামরুল : বিভিন্ন মহলের শোক

কুড়–লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কুড়–লগাছি পশ্চিমপাড়ার আফছার উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক কামরুল হাসান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি……..রাজেউন)। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার শ্যামলীর কেডিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘ ১ বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। গত দেড় মাস কেডিকে হাসপাতালে কেবিন ভাড়া করে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৩ বছর। তিনি বর্তমানে দামুড়হুদার হরিশ্চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্যারের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শতশত ছাত্র-ছাত্রীরা একনজর স্যারকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুড়–লগাছি গ্রামের বাড়িতে শিক্ষক কামরুলের লাশ এসে পৌঁছুলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যে পরিণত হয়। শোকাহত পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। কামরুলের মৃত্যুর সংবাদে গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। তার এ অকালমৃত্যুতে পরিবার ও গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ও মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ছোট শিশুপুত্র অন্তু (১০) মেয়ে মরিয়ম (৫) শুধু বলছে আমার আব্বা আমার সাথে কথা বলছে না কেন। আমার বাবার কি হয়েছে। এমন প্রশ্নর উত্তর দেবার মতো ভাষা কারো নেই। শুধু আব্বু আব্বু বলে ডাকছে। সে যে আর কোনোদিন বাবার কথা শুনতে পারবে না। কে বোঝাবে এই অবুঝ শিশুটিকে। তার কথা শুনে সাধারণ মানুষ কান্না ধরে আকতে পারেনি।
গতকাল শনিবার রাত ১০টায় কুড়–লগাছি পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে বেদনাবিধূর পরিবেশে মরহুমের কুড়–লগাছি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কামরুলের মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহল গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম, কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. এনামুল করিম ইনু, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসমত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সদস্যবৃন্দ। মৃত্যুকালে কামরুলের ১ ছেলে ১ মেযেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

Comments (0)
Add Comment