আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় জেলা ইজতেমা শেষ হয়েছে। শনিবার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মশান বাজারের সন্নিকটে জেলা ইজতেমার সমাপনী দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণসহ দেশের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় মাঠে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কণ্ঠে ‘আমিন, আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। তাবলিগ জামাতের মুরব্বি ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মাহমুদ-উল্লাহ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ১১টা ৪৮ মিনিটে। শনিবার দুপুরে লাখো মুসুল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এক ধর্মীয় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকালে জেলা ইজতেমায় ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত ঈমান, আমল, ইকরামুল মুসলেমিনসহ তাবলিগের ৬ উসুলের ওপর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হেদায়েতি বয়ান চলতে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ধ্যানে মশগুল হয়ে শুনতে থাকেন এসব বয়ান। পরে ধনী-গরিব এক হয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ ইজতেমার ময়দানে উপস্থিত হন। ছুটে আসেন নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, কিশোর-শিশু নির্বিশেষে সবাই। ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, বিভিন্ন যানবাহনে বসে মোনাজাতে শরিক হন বহু মানুষ। অনেকেই দূরে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও মোনাজাতে শরিক হন। ইজতেমাস্থলে ছিলো নানা আয়োজন। নানা ধরনের সেবা দেয়ার দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। এর আগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জেলা ইজতেমা। এই ইজতেমায় ইসলামী জীবন বিধান ও ধর্মের আলোকে বয়ান করছেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি ও দেশবরেণ্য আলেমগণ। ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুল পরিমাণ মুসুল্লী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, এবার মিরপুর উপজেলার মশান বাজারের সন্নিকটে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তারা প্রশাসনের কাছে লিখিত অনুমোদনের চিঠি দেন। তবে কোনো অনুমোদন না মেলায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান। একপর্যায়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) আব্দুল কাদেরও ইজতেমা মাঠে আসেন। আয়োজকদের ইজতেমা বন্ধ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরও মুসল্লিরা সেখানে বয়ান করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রশাসন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মুসল্লীরা। বিশেষ করে পানির স্বল্প এবং রাতের বেলায় নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়।

 

Comments (0)
Add Comment