আলমডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে গবাদি পশুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: টানা দাবদাহের পর চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার অতিক্রম করে। কয়েকদিন ধরে সারাদেশে তীব্র গরম পড়ছিলো। তবে কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল সোমবার দুপুরের পরপরই চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয় বৃষ্টি। জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। বজ্রপাতে হতাহতের তেমন কোনো খবর পাওয়া না গেলেও আলমডাঙ্গার বন্দরভিটায় গবাদি পশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টানা দাবদাহের পর কার্পাসডাঙ্গাসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। অসহ্য গরমের পর বহুল প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে কার্পাসডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মেলে। এতে গরমও কমে এসেছে। প্রচ- গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ অবস্থায় এই বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। বৃষ্টির পর আবহাওয়া শীতল হয়েছে। এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘঠেছে বলে জানাগেছে তবে কেউ আহত হবার খবর পাওয়া যায়নি। বজ্রপাতের বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, বাড়ির পাশে বাশবাগানে বজ্রপাত ঘটেছে। বজ্রপাতের কারণে আমার ঘরের ব্যবহৃত এলইডি নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া প্রতিবেশীদের অনেকের ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বৃষ্টি নিয়ে পোস্ট করতে দেখা গেছে। কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লির জুলিয়াস মেপল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকদিন পর শান্তির বৃষ্টি। তানভির শাহারিয়ার তুর্য ফেসবুুুুকে পোস্ট করেছেন রিম-ঝিম ধারাতে চাই মন হারাতে আগে কত বৃষ্টি যে দেখেছি শ্রাবণে জাগিনি তো এত আশা ভালোবাসা এ মনে। আজ অনেক দিন পর বৃষ্টিতে ভিজলাম, কে কে ভিজেছেন।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার বন্দরভিটার বজ্রপাতে কৃষকের গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বন্দরভিটা গ্রামের কৃষক মৃত মকবুল হোসেন ছেলে ওবাইদুল্লাহ বাড়ির পাশে একটি গাভি গরু বেঁধে দিয়ে এসেছিলো। বেলা ১ টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনায় ওই গাভী গরু মারা যায়। কৃষকের পরিবারের সদস্যরা মৃত গরুটি মাটিচাপা দিয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment