করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে কুষ্টিয়ার প্রশাসন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আসছে শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সব জায়গায় চলাচলে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই সভা হয়। এতে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সভায় চিকিৎসকেরা বলেন, সাধারণত শীতকালে হাসপাতালগুলোয় ৬০ ভাগ বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থাকেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলে জ্যেষ্ঠ এই নাগরিকদের সতর্কভাবে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তারা। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে। এ জন্য সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সিভিল সার্জন এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। জেনারেল হাসপাতালের ৫০ শয্যায় কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। প্রয়োজনে আরও ৫০ শয্যা বাড়ানো যাবে। চিকিৎসক ও নার্সরা এখন অনেক দক্ষ হয়ে গেছেন। বয়স্ক রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার, টয়লেট চেয়ারসহ তাদের সেবার জন্য বেশিকিছু চাহিদা আছে। সেগুলো যেনো হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক নুরুন নাহার বেগম, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবির উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, মানুষ অনেকটা গা ছাড়া ভাবে চলছেন। লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সব ধরনের অফিসে কর্মচারী থেকে কর্মকর্তাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে চলাচলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কঠোর হবে প্রশাসন। সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে লকডাউনও হতে পারে।

কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত ২১ হাজার ১০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৭২ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৬ জন।

Comments (0)
Add Comment