গাংনীর কৃতি ডা. দেলদার কুষ্টিয়া মেডিকেলের অধ্যক্ষ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাইপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি রাইপুর গ্রামের মরহুম আকমল হোসেন মাস্টারের পুত্র।
এর আগে ডা. দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অত্যান্ত মেধাবী ডা. দেলদার হোসেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মেধাবী দেলদার হোসেন ১৯৮২ সালে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেধা তালিকায় ১১তম স্ট্যান্ডসহ এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। সেখান থেকে ১৯৮৪ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্ট্যান্ডসহ এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখানে মেধার স্বাক্ষর রেখে এমবিবিএস সমাপ্ত করেন। অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ডা. দেলদার হোসেন চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। তার বাবা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মেজো ভাই আমিরুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল হিসেবে কর্মরত আছেন। ৩য় জন হামিদুল ইসলাম একটি ডিগ্রি কলেজে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক থাকা অবস্থায় কয়েক বছর আগে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন । সবচেয়ে ছোট জামিরুল ইসলাম বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডের উপ-ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট বোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। সব ভাই বোন অত্যন্ত মেধাবী।
ডা. দেলদার হোসেনের পারিবারিক জীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বড় মেয়ে সিরাজগঞ্জের শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। ছেলে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। ডা. দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গাংনীর তথা মেহেরপুর জেলার মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত।
এলাকার কয়েকজন জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ওই সময় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছিলো শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। সেই স্কুলের মেধাবী ছাত্র ডা. দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই আনন্দিত ।
ডা. দেলদার সম্পর্কে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির স্বনামধন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, দেলদার অত্যান্ত মেধাবী, বিনয়ী ও চাপা স্বভাবের ছিলো। সে ইংরেজী ও অংকসহ সকল বিষয়ে অত্যন্ত ভালো ছিলো। নিজেকে কখনও ভালো ছাত্র বলে জাহির করতো না। তিনি বলেন, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত যারা সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলো ডা. দেলদার তাদের মধ্যে অন্যতম। ডা. দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির এ কৃতিশিক্ষক অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত । তিনি ডা. দেলদারের সফলতা কামনা করেন।

 

Comments (0)
Add Comment