চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুরে ৪ লাখ টাকার ফেনসিডিল চুরি নিয়ে লঙ্কাকা- : একজন আটক

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে মজুদ করে রাখা ৪লাখ টাকার ফেনসিডিল চুরি যাওয়া নিয়ে ঘটেছে লঙ্কাকা-। ফেনসিডিল উদ্ধার ও হোতাদের ধরতে ঘটনার সাথে জড়িত কুন্দিপুর গ্রামের আরিফুলকে আটক করেছে পুলিশ। ফেনসিডিলের মালিক ঝাঁজাডাঙ্গা গ্রামের ডালিম ও হালিম দিয়েছেন গাঢাকা।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ছাদেক আলী মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তার ব্যবহৃত ভাঙ্গারি ব্যবসার ভ্যানে করে ৩শ’ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের বেলেমাঠ পাড়ায়। ওই ফেনসিডিল সেখানে তার ফুপাত ভাই সেলিমের ছেলে আরিফুল ইসলামের হেফাজতে রেখে আসেন। গতকাল বুধবার ভোররাতের দিকে ওই ফেনসিডিল পূর্বনির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো ছাদেক আলীসহ তার লোকদের। ভোররাতে ছাদেক তার লোকজন নিয়ে কুন্দিপুর গ্রামে গিয়ে দেখেন বস্তায় ভরে রাখা ফেনসিডিল চুরি হয়ে গেছে। সন্দেহের তীর যাই আরিফুলের দিকে। সকালে ছাদেক আলী ও তার লোকজন গিয়ে আরিফুলকে নানাভাবে জেরা করতে থাকেন। এ সময় আরিফুলের মা সাফিয়া খাতুন ছেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে তাকেও কিলঘুসি মেরে আহত করেন ছাদেক ও তার লোকজন। চাঞ্চলকর এ ঘটনা পুলিশের কানে গেলে গতকালই বেলা ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে কুন্দিপুর গ্রাম থেকে আরিফুলকে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ। ঘটনার অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, ছাদেক আলীকে ওই ফেনসিডিলগুলো দিয়েছিলেন তারই শ্যালক দর্শনাথানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঁজাডাঙ্গা গ্রামের মাদরাসা পাড়ার নজির আলীর ছেলে ডালিম ও হালিম। সূত্র জানায়, ফেনসিডিল চুরি যাওয়ার ঘটনায় ছাদেকের শ্যালকরা তাকে গ্রামে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করেন। ছাদেকের স্ত্রী জানান, তার স্বামীকে তার ভাইয়েরা ডেকে নিয়ে মারধর করেছেন। আরিফুলের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ট্রাকডাইভার। সে কোনো রকম ফেনসিডিল কারবারের সাথে জড়িত নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আমার ভাইয়ের ছেলে ছাদেক আলী ওই ফেনসিডিলগুলো আমার ঘরে রাখার প্রস্তাব দিলে আমি না করি। পরে গ্রামের শ্মশানের গর্তে রেখে যায়। সেখান থেকে ফেনসিডিল চুরি যাওয়ায় আমার ছেলেকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ে মাদক কারবারিদের প্রকাশ্যে এহেন কর্মকা-ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। হোতাদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, আটককৃত যে তথ্য দিয়েছে তার সূত্র ধরে ফেনসিডিল উদ্ধার এবং হোতাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

 

Comments (0)
Add Comment