চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে কুমারী মেয়ের পুত্রসন্তান প্রসব

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আবু সাঈদ এখনও জেলহাজতে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা কুমারী মেয়ের মামলা করার প্রায় ৪ মাসের মাথায় সিজারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। অপর দিকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত একই গ্রামের আবু সাঈদ এখনও রয়েছে জেলহাজতে। আবু সাঈদ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সে সময় আগত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবি তোলেন। সন্তানের বয়স একমাস হলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের উত্তরপাড়ার হাশেম আলীর কলেজপড়–য়া ছেলে আবু সাঈদ (২১) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশীর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ১২ নভেম্বর দর্শনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার দিনই বিকেলে সাঈদকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানা পুলিশ। পরের দিন গ্রেফতারকৃত সাঈদকে জেলহাজতে প্রেরণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই সাথে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা এবং জবানবন্দি রেকর্ড করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত আবু সাঈদ ওই স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তান তার নয় বলে দাবি তোলেন। প্রয়োজনে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবি জানায়। মামলা দায়েরের ৩ মাস ২৬ দিন পর গত সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই স্কুলছাত্রী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, সেই থেকে আবু সাঈদ এখন পর্যন্ত জেলহাজতে আছে। আসামির দাবির প্রেক্ষিতে সন্তানের বয়স এক মাস হলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তবে গ্রামসূত্রে জানা যায়, সে সময়ই শুধু আবু সাঈদ না, কয়েকজনের নাম বাতাসে ভাসতে থাকে। ডিএনএ পরীক্ষা করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে গ্রামবাসী মনে করছে।

Comments (0)
Add Comment