চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরনী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সাইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আবারও বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যাপীঠের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য শঙ্করচন্দ্র ইউপি সদস্য শওকত আলী বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠের সাইনুল হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদান করার পরপরই বিভিন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে বিদ্যালয় হতে গত ১/২/২০১৪ তারিখ হতে ৩১/১২/২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৩ টাকা এবং ১/১/২০১৬ তারিখ হতে ২৭/৫/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪২৩ টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ৩২হাজার ৬৮৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। ৩০/৯/২০১৭ তারিখের অডিট প্রতিবেদনে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তৎকালীন সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ২/১১/২০১৭ তারিখে দ. বি. আইনের ৪০৬/৪২০ ধারায় প্রধান শিক্ষক সাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক সাইনুল ইসলাম ৭ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ৩০০ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করে ৪/৭/২০১৯ তারিখে পুনরায় স্ব-পদে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদান করার পর পরই প্রধান শিক্ষক সাইনুল ইসলাম বিদ্যালয় হতে পুনরায় ২ লাখ ৯০ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। যাহা ১/১/২০২০ তারিখ হতে ২/৩/২০২১ তারিখ পর্যন্ত অডিট প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়। ম্যানেজিং কমিটি বারবার কারণ দর্শানোর নোটিশ ও টাকা ফেরতে তাগিদ দিলেও কোনো কর্ণপাত না করে নিজের মত করে চলতে থাকেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩/৫/২০২১ তারিখের ১৮১ নং সভার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক সাইনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর গত ১৩/১/২০২১ তারিখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও স্থায়ী বহিস্কারের জন্য সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে গত ৮/২/২০২২ তারিখ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য শংকরচন্দ্র ইউপি সদস্য শওকত আলী বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বারবার বিদ্যালয়ে টাকা আত্মসাৎ করায় ফুঁসে উঠেছে এলাকার অভিভাবক ও সচেতনমহল।

 

Comments (0)
Add Comment