চুয়াডাঙ্গায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ : অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় খুচরা ও পাইকারি তরমুজের বাজার মনিটরিং এবং অধিক মূল্যে ও কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রয় মূল্যের থেকে ২০ শতাংশ লাভ করতে পারবেন বিক্রেতারা। এর বেশি ও কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলেই পড়তে হবে শাস্তির মুখে। শনিবার দুপুরে জেলা শহরে পাইকারী ও খুচরা তরমুজ বাজার পরিদর্শন করে এ নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার ও হাবিবুর রহমান।
সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন, এখন প্রচন্ড খরার মধ্যে দিন যাচ্ছে। এ সময় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কিছু আসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মূল্যে ও কেজিতে তরমুজ বিক্রি করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে পাইকারী ও খুচরা তরমুজের বাজার মনিটরিং করি। যেহেতু কৃষি অধিদফতর তরমূজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি বিধায় বেশিমূল্যে বিক্রির জন্য আমরা অভিযান করতে পারি না। এজন্য খুচরা ও পাইকারী তরমুজ ব্যবসায়ীদেরকে ক্রয়মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ লাভে ও কেজি বাদ দিয়ে পিচ হিসেবে তরমুজ বিক্রয়ের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে নতুন দামের কারণে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও খুশি খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এর আগে রমজানের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তরমুজ ব্যবসায়ীরা কৃষকদের নিকট থেকে তরমুজ কম দামে পিস হিসেবে কিনে বেশি মূল্যে কেজি দরে বিক্রি করে আসছিলেন। প্রতি কেজি তরমুজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। এতে প্রকারভেদে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। যা কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত দামে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের পাশাপাশি প্রচ- দাবদাহে রসালো ফল তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ডাক্তারদের এমন পরামর্শ থাকলেও এই ফলটি যেনো মানুষের নাগালের বাইরে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমনই অভিযোগ পেয়ে শনিবার জেলা প্রশাসন তরমুজের বাজার মনিটরিংসহ ক্রয় মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ লাভ ও পিস হিসেবে বিক্রির কঠোর নির্দেশনা দেয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, শনিবার চুয়াডাঙ্গার খুচরা ও পাইকারী তরমুজের বাজার মনিটরিং করা হয় এবং অধিক মূল্য ও কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও কেনার মূল্যের থেকে ২০ শতাংশ লাভে বিক্রি করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment