চুয়াডাঙ্গায় প্রতি কেজি ধানবীজের মূল্য ৪৫ টাকার দাবিতে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষীরা ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় চুক্তিবদ্ধ চাষীরা  বিএডিসির কাছে  বোরো ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।  প্রতি কেজি ধানবীজের মূল্য ৪৫ টাকা  নির্ধারণের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীজ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও বীজভবনসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে অনেকটাই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

সংশ্ল্টি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে গত ২ মে থেকে ধানবীজ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় এবং চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই সময়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান মোট নয় হাজার ২৮০ মেট্রিক টন ধানবীজ কেনার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান ধানবীজ কিনেছে মোট চার হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। এখনো বাকি রয়েছে চার হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন ধানবীজ কেনা। যে তিনটি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ চাষীদের কাছ থেকে ধানবীজ কিনছে এরা হলো, ধান গম ও ভূট্টা বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স ও আপদকালিন সংগ্রহ কেন্দ্র। চুক্তিবদ্ধ কৃষকরা ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ রাখায় লক্ষমাত্রা পুরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানান, গত বছর বোরো ধানবীজের দাম ছিল ৩৮ ও ৩৯ টাকা কেজি। এবছর এখনো সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ হয়নি। তবে, চাষীদের দাবি, এ বছর ক্রয়মূল্য দিতে হবে ৪৫ টাকা কেজি। বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষী সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি  এনামুল হক লোটাস জানান, এক কেজি ধান থেকে সকল প্রক্রিয়া শেষে ৭০০ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। এবছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতি কেজি বীজধান উৎপাদন করতেই ৪৫ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই, ৪৫ টাকার নিচে দাম দিলে বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। চুয়াডাঙ্গা  বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক ও ক্রয় কমিটির আহŸায়ক সেলিম হায়দার জানান, চুক্তিবদ্ধ চাষীরা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পর তা বিএডিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন,‘ চাষীদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেরি হলে বীজের মান ধরে রাখা যাবে না।’ তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই ধানবীজ ক্রয় কমিটি স্থানীয় বাজারের মূল্য পর্যালোচনা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ৪১ টাকা দরে ধান কেনা যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে।

Comments (0)
Add Comment