চুয়াডাঙ্গায় ২০ দিন ধরে নিখোঁজ রাসেলকে ফিরে পেতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: ২০ দিন থেকে নিখোঁজ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া কলোনীপাড়ার কিশোর রাসেল আলীকে ফিরে পেতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে করা হয় সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ রাসেলের বাবা নাজমুল হক। এদিকে, রাসেল অপহরণের মামলায় গ্রেফতার কালাম ও অনিকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাসেলের বাবা নাজমুল হক বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বোরহানুল আবেদীন রিপনের ছেলে কালাম হোসেন ও একই এলাকার সুলতান মাহমুদের ছেলে তানভির আহমেদ অনিক আমার ছেলে রাসেলের পূর্ব পরিচিত। তারা পুরাতন স্টেডিয়াম সংলগ্ন গোলাম রসুলের ট্রাকের গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করতো। গত ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, কালাম হোসেন ও তানভির আহমেদ অনিক আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। তারা চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে রাসেল, কালাম ও অনিককে একসাথে দেখতে পায় পুলিশ। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও রাসেলকে দেখা গেছে। আমরা ধারনা করছি, আমার ছেলেকে কালাম ও অনিক ভারতে পাচার করেছে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। তাই প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ কিশোর রাসেলের মা রেহেনা খাতুন, দাদা মাদার আলী ও ফুফু মরিয়ম খাতুনসহ পরিবারের অন্য সদস্য ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমিরদিয়া কলোনী পাড়ার নাজমুল হকের ছেলে রাসেল আলী গত ৩০ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁঁজি করে। তাকে না পেয়ে গত ২ নভেম্বর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। কোনো খোঁজখবর না পেয়ে গত ৯ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বাদী হয়ে কালাম ও অনিকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন রাসেলের বাবা নাজমুল হক। পরে অপহরণকারী সন্দেহে কালাম ও অনিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাদের রিমান্ড শোনানী ছিল। পরে তাদের প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

Comments (0)
Add Comment