চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত

মামলা নিস্পত্তির পর ভোটের নতুন দিন ক্ষণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ধার্যকৃত ৩০ অক্টোবর দ্বিবার্ষিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এবং খুলনা শ্রম আদালতে চলমান মামলা থাকায় এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবর বুধবার থেকে সাধারণ সভার আগের দিন পর্যন্ত সদস্যদের মাসিক চাঁদা গ্রহণ করা হবে। যে সকল সদস্যগণের কার্ড নবায়ন করতে ইচ্ছুক তাদের নিজ নিজ কার্ড সঙ্গে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা ঝেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন ম-ল স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সকল সদস্যদের জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ৩০ অক্টোবর শনিবার সংগঠনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, গত ১৩ অক্টোবর সকার ১১টায় অত্র সংগঠনের নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা জজ আদালতের অ্যাডভোটেক মো. সেলিম উদ্দীন এক পত্রের মাধ্যমে অত্র সংগঠনকে অবগত করেন, সুপ্রীম কোর্ট এ চলমান মামলা নং ১১৪২/০৯ এবং খুলনা শ্রম আদালতে চলমান ১১৭/১৫ মামলা থাকায় ৩০ অক্টোবর চলমান নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এরই প্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর জরুরীভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মামলা নিস্পত্তি হওয়র পর দ্রুত সম্ভব সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখ থাকে য, আগামী ২০ অক্টোবর বুধবার হতে সাধারণ সভার আগের দিন পর্যন্ত সদস্যদের মাসিক চাঁদা গ্রহণ করা হবে। যে সকল সদসগণ কার্ড নবায়ন করতে ইচ্ছুক তাদের নিজ নিজ কার্ড সাথে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নবায়ন করিয়ে নিতে পারবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন কমিটির সভার সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণীও প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন মো. সেলিম উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের মামলা নং ১১৪২/২০০৯ ও খুলনা শ্রম আদলতে মামলা নং ১১৭/১৫ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিত সদস্যগণ সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় যেহেতু আদালতে মামলা বিচরাধীন, সেহেতু আইনগতভাবে নির্বাচন করা যক্তিযুক্ত নয়। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। এছাড়া কোটন আলীসহ ১১ জন স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্তের মাধ্যমে সাধারণ সভার রেজুলেশন কটি সরবরাহের বিষয়েও আলোচনা করে বলা হয়, রেজুলেশন প্রদান করা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। বিধায় রেজুলেশন কটি প্রদান করা সম্ভব হয়। যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের সাথে আবেদকরা যোগাযোগ করতে পারেন।

Comments (0)
Add Comment