চুয়াডাঙ্গা পৃথকস্থানে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে দুজন হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে অজ্ঞান পার্টি খপ্পরে পড়ে দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথকস্থানে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান বিশ্বাস ছেলে সুমন (৩০) ও দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের রামনগর কলাবাড়ি গ্রামের নতুনপাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৫০)।
জানা যায়, গতকাল ভোরে আড়তে ফুলকপি বিক্রি করে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন জিয়াউর রহমান। ট্রেনের মধ্যেই তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। ওই বগিতে জিয়াউর রহমানকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান একই গ্রামের হাসেম আলী। তিনিই জিয়াউর রহমানের পরিবারকে খবর দেন ও চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনে নামিয়ে নেন। পরে পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরিবারের সদস্যরা জানায়, জ্ঞান ফিরলে জানা যাবে তার নিকট থেকে কতো টাকা নিয়েছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা।
এদিকে, গতকাল সকালে সুমন গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরতলি দৌলাতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ডের পাশে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে তার নিকট থেকে কত টাকা খোয়া গেছে এটা জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তাদের দুজনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাবেনা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।
চুৃয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকা নিয়ে নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
স্টাফ রিপোর্টার: চুৃয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকা নিয়ে নদীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর প্রধান কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি। সভায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর প্রধান সম্পাদক ও মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা নাজমুল হক স্বপন, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বিশ্বাস, সহসভাপতি শাহ আলম সনি, সহ-সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, কোষাধ্যক্ষ পলাশ কুমার শাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, প্রচার সম্পাদক মেহেরাব্বিন সানভী, সদস্য সেলিমুল হাবিব সেলিম প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আগামী ২৩ অক্টোবর মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটি মাথাভাঙ্গা নদীতে দুইটি বড় নৌকা নিয়ে নদীর চুয়াডাঙ্গার মধ্যে থাকা অংশ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করবে। এ কমিটি নদী পর্যবেক্ষণ করে নদীর সমস্যা এবং সমস্যাগুলোর সমাধান খুজবে। বিস্তারিত নিয়ে আগামী প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট্য দপ্তরে এটা উপস্থাপন করা হবে। ওই সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, প্রায় ৭০ জন নিয়ে এ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম দিনব্যাপী চলবে। বড় বড় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদীর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। উল্লেখ্য, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাথে মাথাভাঙ্গা নদী পরিদর্শনে কেউ যদি যেতে চাই, তাহলে এ কমিটি তাঁদের নিয়ে যাবে।

Comments (0)
Add Comment