স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ৫টি স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) শারমিন আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব এস এম রেজাউল করিম, টিকাদান সহকারি আলী হোসেন,কনজারভেন্সি অফিসার জুবায়ের আহমেদ ও আব্দুল গনি। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক শারমিন আক্তার বলেন, আবারও দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই নিজ নিজ তাগিদে পৌরসভার বাসিন্দারা তাদের বাড়ির আঙিনাসহ বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে ১৫ দিনের একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান চালানো হবে। এই অভিযানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রত্যেকটি ড্রেন ও ফুটপাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। এছাড়া রাস্তার দু’পাশের ফুটপথ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে যারা সাধারণ জনগনের চলাচল ব্যাহত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তাদেরকেও প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছেন।তিনি বলেন, এ সকল ব্যবসায়ীগণ এমনিতেই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা অর্থাৎ সরকারিভাবে কোন ট্যাক্স দেন না, উপরন্ত তারা পথ ও সড়কের দু’ধার দখল করে যত্রতত্রভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করছেন। একই সাথে এ সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনার স্তুপ করে ড্রেনগুলো ভরাট করে ফেলছে। ফলে ড্রেন জ্যাম হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে,পচা দুর্গন্ধ তৈরি হয়ে ওখান থেকে জন্ম নিচ্ছে ভয়াবহ ডেঙ্গু মশা। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান সংলগ্ন ড্রেন দখল করে বালি ফেলে রাখা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি ড্রেনগুলো বালিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বালিওয়ালা কে মৌখিক সতর্ক করে দিয়ে ড্রেনের উপর থেকে বালি সন্ধ্যার মধ্যে সরিয়ে নিয়ে ড্রেন ক্লিয়ার করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সংলগ্ন ফুড আইটেমের দোকানগুলো ও চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন দোকানগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাধারণ জনগণের ভোগান্তি হয় এমন কাজ পৌরসভার মধ্যে হতে দেওয়া হবে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের মাছ পট্টিতে মাছ ব্যবসায়ীগণ সড়কের উপরে মাছ রেখে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেও গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক শারমিন আক্তার সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের আড়ৎপট্টিতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে চুয়াডাঙ্গা মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তার মাছ ব্যবসায়ীগণ যেনো তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সীমানায় মাছের ব্যবসা বা আড়ত ব্যবসা করবেন। সড়কের উপরে কোনো ব্যবসায়ী মাছ রেখে ব্যবসা করতে পারবেন না। এর ফলে সড়কের উপরে সব সময় পানি স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় থেকে সড়ক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
১৫ দিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানের অংশ হিসাবে গতকাল রোববার সকাল সাতটা থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড়, পুরাতন জেলখানা মোড়, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউমার্কেট এলাকা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মোড়, চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা কবরস্থান সংলগ্ন এলাকা ও চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন সংলগ্ন মাছের আড়ত পট্টিতে সতর্কতামূলক অভিযান পরিচালনা করেন পৌরসভার প্রশাসক শারমিন ডাক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে সকল ব্যবসায়ীদের কে সতর্ক করা হলো। নির্দেশনা না মেনে চললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।