চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ও সনদ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।

চুয়াডাঙ্গা দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হান্নান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য প্রথমে ভারতের মাজদিয়া ইয়থ ক্যাম্পে যোগদান করে। সেখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর নিজেই অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করি। সেখান থেকে বানপুরের আর্মি ক্যাম্পে যোগদান করি। আর্মিরা আমাদের সঙ্গে নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আমি সে সময় তাদের সাথে যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। আমি বাংলাদেশের দর্শনা, শ্যামপুর, মেমনগরে যুদ্ধে অংশ নিই। উচ্চ প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ভারতের বিহারে যাই। সেখানে আমি ট্রেনিং পিরিয়ডে ওয়ান প্লাটুন কমান্ডের দায়িত্ব পালন করি। এক মাস প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়। আমি ১০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে কমান্ডার হিসেবে বাংলাদেশে যুদ্ধে অংশ নিই। সদর উপজেলার গড়াইটুপি, তিতুদহ, গবরগাড়াসহ সরোজগঞ্জের আশপাশ এলাকায় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। দীর্ঘদিন পর হলেও আমি স্মার্টকার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র হাতে পেয়ে খুবই আনন্দিত। মনে হচ্ছে নতুন করে আবারও স্বীকৃতি পেলাম দেশের বীর সন্তান হিসেবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সনদ বিতরণের সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তাদের জন্য তৈরি স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র তুলে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধার বেশি বেশি সম্মান দিলে আমাদের ভালো লাগে। আমরা খুশি হই। ভালো থাকবেন দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, এই দোয়া করি।

Comments (0)
Add Comment