ছেলুন-আজাদ আবারও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের নেতৃত্বে!

বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষে আগের কমিটির সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুক মারফত জানা গেছে। তবে দলের দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে বা দলের কোনো প্রেসবিজ্ঞপ্তি দৈনিক মাথাভাঙ্গার হাতে আসেনি। সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিকেলে কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়েই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয় বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ পায়। সাত বছর পর বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে গতকাল সোমবার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনাপর্ব অনুষ্ঠিত হলেও বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল অধিবেশন ছাড়াই শেষ হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। বেলা সাড়ে তিনটা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সাবজেক্ট কমিটির আদলে সভা হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কথা ছিলো দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা টাউন ফুটবল মাঠের অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে কমিটি ঘোষণা দেবেন। বিগত কাউন্সিলগুলোয় এমনটাই হয়েছে। অথচ এবারের চিত্র ছিলো উল্টো। কেন্দ্রীয় নেতা কাজী জাফর উল্লাহ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত সাবজেক্ট কমিটির সদস্যদের সরাসরি জানিয়ে দেন যে নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশনা আছে, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক করতে হবে। সভাপতি পদে আগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কারও দ্বিমত না থাকলেও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বাগবিত-া হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ সম্পাদক পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম ঘোষণা করলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন প্রতিবাদ করেন। সোলায়মান হক দাবি করেন, নেত্রী তাকেও একটি গাইডলাইন দিয়েছেন। মুন্সি আলমগীর হান্নান ছাড়া আর কাউকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিলে তিনি এর দায়ভার বহন করবেন না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করবেন। সোলায়মানের এমন বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৪টার দিকে কার্যালয় ছেড়ে সোজা সার্কিট হাউসে যান এবং সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে যান। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ পায় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আজাদুল ইসলাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। এ নিয়ে ফেসবুকেও শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়। যদিও দায়িত্বশীল বা নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য দৈনিক মাথাভাঙ্গার হাতে পৌঁছায়নি। তাই জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

Comments (0)
Add Comment