জীবননগর ইউএনও’র ওপর হামলা মামলায় আসামি মিজান ডাক্তার গ্রেফতার

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকনের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারের ৯নং আসামি মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ডাক্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এর মধ্যে ৪জন এজাহার নামীয় রয়েছে। এদিকে গ্রেফতার এড়াতে গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। তবে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেরই মামলার আসামি তালিকায় নাম নেই। তারা নানাভাবে বাড়িতে আসছে ও ঘুরে বেড়ালেও নিরাপরাধ অনেকেই বাড়ি ফিরতে না পারায় তাদের পরিবার পরিজন কষ্টে পড়েছে। মাঠে ফসলের চাষ মারাত্মকভাবে ব্যবহত হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, কাটাপোল গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র গ্রামের মন্টু মাস্টারের ফসলী ক্ষেতের মাটি কেটে চড়া দামে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন অর্ধশত ট্রাক্টর গ্রামটিতে ঢুকে মাটি পরিবহন করতে থাকায় ছোট খাটো দুর্ঘটনাসহ গ্রামটি ধুলা-বালুর গ্রামে পরিণত হয়। প্রতিকার চেয়ে গ্রামবাসী ইউএনওর বরাবর অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে গত ১১ মার্চ ইউএনও পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাক্টর আটক করে এবং আল আমিন নামের সংশ্লিষ্ট একজনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ওই চক্রের হোতারা গ্রামে মিথ্যা গুজব ছড়ায় ইউএনও মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তাদেরকে মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছে। ফলে গ্রামবাসী ইউএনওর ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। এ অবস্থার মধ্যে ১৬ মার্চ ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মঈদুল ইসলাম নামের এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হন। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
এ হামলার ঘটনায় পরের দিন ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ৪০ জনকে আসামি করে ইউএনও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৪ জন মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তবে পূর্বে আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, মিজানুর রহমানকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment