তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রস্তাবিত সংশোধন বাতিলের দাবি

জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি চুয়াডাঙ্গা শাখার সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধকরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাসিব নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।

সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান নাসিবের জেলা সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কাঞ্চন। এ সময় সহসভাপতি নুরজাহান খাতুন, সদস্য নাজমা আহমেদ ও হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে খসড়া প্রণয়ন করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নাসিব নেতৃবৃন্দ বলেন, খসড়ায় বেশ কিছু ধারা অন্তর্র্ভূক্ত করা হয়েছে, যা নিম্ন আয়ের খুচরা বিক্রেতা জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রয়োজন অনুযায়ী খসড়া সংশোধন ও বাতিলের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। প্রস্তাবিত খসড়ার কিছু ধারা-উপধারায় সংশোধন করার দাবি করা হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, ধূমপান এলাকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ, খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞায় ‘চায়ের দোকান অন্তর্ভুক্তিকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং সার্বিকভাবে জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ এবং যে কোন প্রকার অভিযোগের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অন্তর্ভূক্তিকরণ।  সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক নিম্ন আয়ের খুচরা বিক্রেতা আছে। যার অধিকাংশই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাসমান দোকানী হিসেবে বিবেচিত। যাদের সাধারণ কোন হোল্ডিং নাম্বার থাকে না। শুধু তাই নয়, কোভিড পরবর্তী সময়ে এই সকল ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের জীবিকার কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার ইনফরমাল ইকোনমিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। কোনো বৈধ পণ্যের জন্য পৃথকভাবে লাইসেন্স নিতে হলে তা ব্যবসানীতির সাথে সাংঘর্ষিক। যদি পৃথক পণ্যের জন্য পৃথক লাইসেন্স গ্রহণ করার প্রথা চালু হয়, তাহলে তাদের ব্যবসায়ীক খরচের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। সংবাদ সম্মেলনে আরো দাবি করা হয়, এই ধরণের প্রতিকুল আইন বাস্তবায়িত হলে এই খাতের সাথে জড়িত প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সকল খুচরা বিক্রেতা ও তাদের পরিবারবর্গ মিলে প্রায় ৭০-৮০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনিক জীববিকার উপর ভীষণভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাছাড়া, মাঠ পর্যায়ে এই ধরণের আইনের যথেচ্ছা অপপ্রয়োগে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র খুচরা ব্যবসায়ীক জনগোষ্ঠী হয়রানর স্বীকার হবে। এসকল জনগোষ্ঠির মধ্যে কর্মহীনতার হার বাড়বে, অবৈধ নকল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে। ফলে সরকার হারাবে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। এরফলে সামগ্রিক অর্তনীতিতে একটি বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।

Comments (0)
Add Comment