দর্শনার পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে স্ত্রী কাকলীর কা- : স্বামীকে ঘুমের ওষুধ ও বিষ খাইয়ে হত্যার অপচেষ্টা

দর্শনা অফিস: দর্শনা সাড়াবাড়িয়ায় বিয়ের দশ মাস না পেরুতেই স্বামীকে হত্যার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে পরকীয়ায় আসক্ত কাকলী খাতুন। পরকীয়া প্রেমিক মুকুলের কুপরামর্শেই স্বামী মাসুদকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কাকলী। মাসুদ প্রাণে বেঁচে গেলেও ফেঁসে গেলেন কাকলী ও মুকুল।
জানা গেছে, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে কাকলী খাতুনের ১০ মাস আগে বিয়ে হয় দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া পালপাড়ার কাদির ম-লের ছেলে মাসুদের সাথে। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সাড়াবাড়িয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার উসমান মোল্লার ছেলে মুকুলের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাকলীর।
কাকলী জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী মাসুমকে হত্যা করতে পারলে মুকুল বিয়ে করবে আমাকে। তাই মুকুলের সাথে ঘর বাধার স্বপ্নে বিভোর ও পরকীয়ায় মত্ত হয়ে মাসুদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মুকুল দুদিন আগেই ঘুমের ওষুধ কিনে দেয় কাকলীকে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে মাসুদের পানি পিপাসা পেলে স্ত্রীর কাছে পানি চান। এ সুযোগে কাকলী পানিতে ঘুমের ওষুধ ও আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখা স্লোবারবরণ নামক বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে মাসুদের বিষক্রিয়া শুরু হয়। ঘুমে লুটিয়ে পড়েন মাসুম। ঘুমন্ত অবস্থায় বমি করতে শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে পরিবারের সদস্যরা মাসুদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভর্তি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা শরীর থেকে বিষ ওয়াশ করে। হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান বলেন, মাসুদ এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। আগামী ৭ দিন না পেরুলে ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবে না মাসুদ। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিক মুকুল। এদিকে পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে আটক করে সোপর্দ করেছে দর্শনা থানা পুলিশে। মাসুদের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে গতকালই কাকলী ও মুকুলের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুর রহমান কাজল জানান, মুকুলকে গ্রেফতারে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে। অচিরেই গ্রেফতার করা হবে অভিযুক্ত পরিকল্পনাকারী পরকীয়া প্রেমিক মুকুলকে।

 

Comments (0)
Add Comment