নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আজ শেষ দিন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত ছাড়াও কি বিদ্রোহী প্রার্থীরা আজ মনোনয়ন পেশ করবেন? গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর এ প্রশ্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে জোরদার হয়েছে। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, দুটি দল থেকেই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা হঠাৎ করেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে দল। এ ভয়ও পাচ্ছেন সম্ভাব্য বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, বর্তমান মেয়র জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত দাউদ হোসেনের ছেলে অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশসহ বেশ ক’জন তফশিল ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার প্রচারণায় মাঠে ছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ পৌর মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করে তাদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। গত শনিবার কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকেই মনোনীত করে। সোমবার তার বদলে পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত নামের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মালিককে মনোনীত করেছে কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না এলে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম মালিকই হচ্ছেন দলীয় মনোনীত তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। যদিও গতকাল দুপুর থেকে তিনি আদৌও প্রার্থী থাকছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করবেন কীভাবে? তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। অপরদিকে বর্তমান মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু? সূত্র বলেছে, তিনিও প্রার্থী হচ্ছেন। তবে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার অনুসারীদের সাথে বৈঠকে বসবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কী না সে বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন প্রার্থী থাকছেন কিনা তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। তবে সূত্র বলেছে, প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শরিফ হোসেন দুদুও প্রার্থীতা পেশ করতে পারেন। অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ পূর্ব থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন বলে অনুসারীদের জানিয়েছেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রস্তাবিত প্রার্থী ছিলেন মুজিবুল হক মালিক মজু। তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলীয় নেতাদের ধারণা ছিলো। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি। এছাড়াও বিএনপির মুনজুরুল জাহিদ, আক্তারুজ্জামান আক্তার আগাম প্রচার প্রচারণায় মাঠে ছিলেন। এদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থীতা রাখবেন কিনা তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও সূত্র বলেছে, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক মজু প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও মনোনয়ন দাখিল করলেই তিনি চূড়ান্ত প্রার্থী নন, বৈধ-অবৈধ যাচাই বাছাইয়ের যেমন বিষয় রয়েছে তেমনই প্রত্যাহারেরও সুযোগ রয়েছে। ফলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত তথা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।

 

Comments (0)
Add Comment