পুকুর খননের নামে মটি বিক্রি : কয়েকটি বাড়ি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা

প্রতিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা
স্টাফ রিপোর্টার: বিশাল গর্ত করে মাটি বিক্রি করার কারণে চুয়াডাঙ্গা সুমিরদিয়া ডেঙাপাড়ার কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাস্তার একাংশ ইতোমধ্যেই ধ্বসে গেছে। মাটি খুড়ে বিক্রিকারক জমির মালিক কালাম মিয়াকে স্থানীয়রা বারণ করেও প্রতিকার পাননি। জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করে প্রতিকারের অশায় দিন গুনছেন গর্তপাড়ের কয়েকটি পরিবার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সুমিরদিয়া ডেঙাপাড়ার রমজান আলী, নঈমুদ্দিন বিশ^াস, ইসলাম আলা, কাজল হোসেন, সহিদা বেগম, মিতু খাতুন, ইসার উদ্দীন অভিযোগ তুলে বলেছেন, আমাদের বাড়ির পাশেই কালাম মিয়ার গর্ত। এ গর্ত থেকে মাটি তুলে বিক্রি করার কারণে আমাদের পাকা ঘর ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গর্তপাড়ে ইতোমধ্যেই বিশাল বড় ফাটলও দেখা দিয়েছে। পুকুর খননের নামে মাটি তুলে বিক্রি করে বাড়ি ঘর হুমকির মধ্যে ঠেলে না দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে গত ২৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছি। আবেদনের পরও মাটি খোড়া থামেনি। ঘর বাড়ি ধ্বসে পড়লে আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই থাকবে না।
ইসলাম আলী বললেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। প্রথম দিকে ৬ ফুট গভীর গর্ত ছিলো। কালাম মিয়া ওই গর্ত থেকে মাটি তুলে বিক্রি শুরু করেন। পুকুর খননের নামে প্রতিবছর মাটি বিক্রির কারণে আমাদের বাড়ির পাশে চলে এসেছে গর্তপাড়। ওই গর্ত থেকে মাটি তোলার কারণে গর্তপাড়ে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। জানি না, কবে ধ্বসে পড়ে আমাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। অভিন্ন ভাষায় অভিযোগ তুলে কাজল হোসেন বলেন, ৩ কাঠা জমির ওপর অনেক কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই করেছি। ওই গর্তের কারণে বাড়ি ধ্বসে পড়ায় হুমকির মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। সাহিদা বেগম বললেন, মাটি কেটে বিক্রি করতে বারণ করতে গেলে উল্টো আমাদের হুমকি দেন কালাম মিয়া। ইসার উদ্দীন বলেন, আমার ৮কাঠা জমির ওপর বাড়ি। বাড়ির পাশেই পুকুর খননের নামে কালাম মিয়া মাটি বিক্রি করে বিশাল গর্ত গড়ে তুলেছেন। গর্তের এক পাশে রাস্তার কিছু অংশ ইতোমধ্যেই ধ্বসে গেছে। আমাদের ঘরবাড়িও ধসে পড়ার উপক্রম।
অভিযোগের বিষয়ে কালাম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বছর মাটি কাটিনি। তাছাড়া পুকুরে পানি থাকলে মাটি তো ধসবে। কারো বাড়ি তো আর ধ্বসে পড়েনি। চুয়াডাঙ্গা এসিল্যান্ডের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Comments (0)
Add Comment