পুত্রশোকে বৃদ্ধা মায়ের শুকিয়ে গেছে চোখের জল

চুয়াডাঙ্গা আড়িয়া গ্রামে তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি সন্তানের
বেগমপুর প্রতিনিধি: সন্তানের কাছে মায়ের গুরুত্ব না থাকলেও মায়ের কাছে সন্তান অমূল্য রতন। সন্তান যেমনই হোক না কেন মায়ের কাছে সেটা বিবেচ্য বিষয় না। তেমনি চুয়াডাঙ্গার আড়িয়া গ্রামে তিনমাস আগে হারিয়ে যাওয়া বাকপ্রতিবন্ধি সন্তানের খোঁজে পাগর প্রায় বৃদ্ধা মা। সন্তান কখন বাড়ি ফিরবে সে অপেক্ষায় সন্তানের ছবি হাতে নিয়ে ৮৫ বছর বয়সী মা ছাপারন নেছা ঘুরছেন পথে পথে। একটাই আকুতি কখন ঘরে ফিরবে খোকা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর স্ত্রী ছাপারন নেছা (৮৫) তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের জননী। অভাব অনটনের সংসারে সন্তানদের শিক্ষিত করতে না পারলেও বড় করেছেন। আট সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাকপ্রতিবন্ধী ওসমান গনি। সন্তান প্রতিবন্ধী হলেও মায়ের কাছে সে বোঝা না। অন্যান্য সন্তানদের মতও তার প্রতি এতটুকু মায়া মমতার কমতি নেই তার। তাই তো গত তিন মাস আগে ওসমান বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হলেও সন্তান বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন ছাপারন। কবে বাড়ি ফিরবে নাড়িছেড়া ধন। সাধ্যমত খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি হাতে নিয়ে যাকে সামনে পাচ্ছে তার কাছেই জানতে চাইছেন ছেলে ওসমান গনি কোথায়। সন্তানের খোঁজে আজ পাগল প্রায় মা। কাঁদতে কাঁদতে ছাপারন নেছার শুকিয়ে গেছে চোখের জল। আদো আদো ভাষায় ছাপারন নেছা বললেন, ওসমান আমার নাড়িছেড়া ধন। জানি না আমার ওসমানের ভাগ্যে কি ঘটেছে। সবার চোখে সে অবহেলার হলেও আমার কাছে সে অনেক দামি। কারণ আমি যে তার মা। দয়া করে আমার এই আকুতি টুকু পেপারে দিয়েন। পেপার পড়ে যদি কেউ সন্ধান দিতে পারে। সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব পেপারের কাছে। কোন সহৃদয় ব্যাক্তি যদি হতভাগা ওসমানের সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে তার পরিবারের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়েছেন বৃদ্ধা ছাপারন নেছা।

Comments (0)
Add Comment