ফরিদপুরে এগ্রোফার্ম থেকে আলমডাঙ্গার শুকুর আলীর মরদেহ উদ্ধার : দুই সহকর্মীর গাঢাকা

আসমানখালী প্রতিনিধি: ফরিদপুরে মালিকানাধীন কৃষি ফার্ম থেকে আলমডাঙ্গার শুকুর আলীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বিপুল এগ্রোফার্মের পুকুরপাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে শুকুর আলীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত শুকুর আলী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত কাবুল ম-লের ছেলে। তিনি ওই এগ্রোফার্মে কৃষিকাজ করতেন। এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের আগে থেকেই গাঢাকা দিয়েছে তার দুই সহকর্মী। ধারণা করা হচ্ছে শুকুরের সহকর্মীরাই তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুকুর আলী ওরফে জিনারুল ইসলাম (৩৩) বছরখানেক ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বিপুল এগ্রোফার্মে কৃষি ব্লকে কাজ করছিলেন। তার সাথে ওই ব্লকে কাজ করতেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুজন হোসেন ও কুষ্টিয়ার আলভি হোসেন।

ফরিদপুর সদর থানার ওসি মুরশেদ আলম বলেন, সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কৃষি ব্লকের পুকুরপাড়ের একটি ঘর থেকে শুকুর আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে জানা গেছে তিনি চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশকে বিষয়টি ইমেইল করে জানানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, শুকুর আলী রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত তার সহকর্মী সুজন ও আলভির সাথেই ছিলো। পরে তারা ঘুমানোর জন্য কৃষি ব্লকের ঘরে যায়। পরদিন বেলা আড়াইটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে খোঁজ মিলছে না তার দুই সহকর্মীর। এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হত্যার রহস্য উদঘটনে কাজ করছে পুলিশ।

শুকুর আলীর বড়ভাই আমিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে ইন্টারনেটে শুকুর আলীর মরদেহের ছবি দেখতে পাই। তার মোবাইলে কল দিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফরিদপুর সদর থানা ওসির সাথে কথা বলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে।

Comments (0)
Add Comment