ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদায়ের অভিযোগ 

স্টাফ রিপোটার: ইটভাটার লাইসেন্স দেয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। শুধু নগদ অর্থই নয় অভিযোগ রয়েছে, ইটভাটা থেকে বিল্ডিং তৈরির জন্য ইট নেয়ারও। অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব করছেন স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ইটভাটায় পরিদর্শন করি। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঠিক আছে কিনা, তার মেয়াদ আছে কিনা এবং এই ফায়ার এক্সটিংগুইশারের পাউডার আছে কিনা এসবগুলো দেখে থাকি। তবে টাকা-পয়সা বা ইট নেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

অভিযোগের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইসেন্স বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি। ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে কথা বলার এক ফাঁকে তিনি বলেন, ভাটাগুলো থেকে আমরা সাধারণত ইট গ্রহণ করিনা। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদক বলেন, তাহলে কি সাধারণত টাকা নিয়ে থাকেন? এমন প্রশ্নে ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম থতমত খেয়ে বলেন, না আমরা সরকারের রাজস্ব আদায়ের জন্য তাদের লাইসেন্স আছে কিনা সেটি দেখার জন্য পরিদর্শনে যায়। যারা লাইসেন্স নবায়ন করেনি বা একেবারে লাইসেন্স করেনি তাদেরকে আমরা নবায়ন করার জন্য তাগিদ দিই। একই সাথে নতুন করে লাইসেন্স করার জন্য তাগিদ দিয়ে থাকি। তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় যতগুলো ইটভাটা আছে তার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০টি মতো ইটভাটার মালিক গন আমাদের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন। বাকি ইটভাটার মালিকরা লাইসেন্স না গ্রহণ করায় আমরা তাদেরকে পুনঃ পুনঃ লাইসেন্স করার জন্য করার জন্য ইটভাটা গুলো পরিদর্শন করে থাকি। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। তবে সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ইটভাটা গুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন এর অংশ হিসেবে সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ঠিক আছে কিনা, তার মেয়াদ আছে কিনা এবং এই ফায়ার এক্সটিংগুইশার এর পাউডার সেটি আছে কিনা সেটি আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করি। সেখান থেকে কোনো টাকা-পয়সা বা ইট আনা হয় না। এটি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি মাত্র দু’মাস হলো চুয়াডাঙ্গা তে যোগদান করেছি এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছে আসেনি বা আমি শুনিনি।

 

Comments (0)
Add Comment