স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরে বেওয়ারিশ গরুর সাথে সংঘর্ষে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হক গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের বাংলোর সামনের সড়কে বেওয়ারিশ গরুর সাথে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হকের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পূর্ব দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দিকে যাইতে যে গোলিটি এই গলির মধ্য থেকেই হঠাৎ করে একটি গরু সড়কের উপর চলে আসে। সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হক কোটমোড় হয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অভিমুখে যাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গরুটি সড়কে উঠে আড়াআড়ি পার হচ্ছিলেন। এ সময় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হক মোটরসাইকেলের কতি সজরে ব্রেক করেও গরুটির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পারেননি। বেওয়ারিশ গরুর সাথে সংঘর্ষ হওয়ার পরপরই আব্দুল্লাহ হক সড়কের উপরে ছিটকে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চরাগা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আব্দুল্লাহ হকের মাথা মুখম-ল ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে এবং মুখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ হক পুরাপুরি সংখ্যা মুক্ত নয় অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার্ড করা হতে পারে। আব্দুল্লাহ হক ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মানবকন্ঠের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি।
এদিকে বেয়ারিস অবাধ বিচারণ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীপে চুয়াডাঙ্গা শহরের অনেকেই প্রতিকার আশা করেছেন। তবে এ বিষয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হয়েই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বেওয়ারিশ গরু জব্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে মাইকিং ও প্রচার-প্রসারনের মাধ্যমে বেওয়ারিশ গরুর মালিকদেরকে সতর্ক করা হবে। এরপর কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে মাইকিং করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গা কে জানান, বেয়ারিশ গরুর বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা ভাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সতর্ক মূলক প্রচার প্রচারণায় কাজ না হলে বেওয়ারিশ গরুগুলোকে দগ্ধ করে সদর থানায় নিয়ে আসা হবে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।