ভারতে পাচারের সময় যশোরে ৩৬টি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার : গ্রেফতার ৩

যশোর প্রতিনিধি: ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় যশোরের বাঘারপাড়া থেকে ৩৬টি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের তেলিধান্যপুড়া গ্রামের একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পিকআপের ভেতর থেকে পুলিশ পাখিগুলো উদ্ধার করে। পুলিশ এ সময় পাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, পাখিগুলো গ্রিনল্যান্ডের সাদা ফন্টেড হাঁসজাতীয় পাখি। পাখিগুলো ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন রুবেল হোসেন (৩০), আব্দুর রাজ্জাক হাসান (২৬) ও শেখ রাসেল (২২)। এর মধ্যে রুবেল হোসেন পাচারচক্রের মূল সদস্য, আব্দুর রাজ্জাক হাসান পিকআপের চালক এবং শেখ রাসেল চালকের সহকারী। রুবেলের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামে, আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এবং শেখ রাসেলের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া গ্রামে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে শেখ রাসেল, রুবেল হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক হাসান একটি পিকআপে করে ঢাকা থেকে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। পিকআপটি চালাচ্ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক হাসান। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পিকআপটি মাগুরা-যশোর মহাসড়ক দিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের তেলিধান্যপুড়া গ্রামের খাজুরা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ সময় বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুম্মান খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পিকআপটি থামায়। এরপর তল্লাশি করে পিকআপের পেছনের দিকে বিশেষ কায়দায় নীল রঙের ত্রিপল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ৩৬টি গ্রিনল্যান্ডের সাদা ফ্রন্টেড হাঁস উদ্ধার করা হয়। এসআই জুম্মান খান বলেন, পরিযায়ী পাখিগুলো শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এর (বি) ধারায় চোরাচালানের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হাঁস পাখিগুলো থানায় রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পাখিগুলো বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়া হবে।

 

Comments (0)
Add Comment