মুজিবনগরে ডাকাত ও রাজাকারদের পক্ষে স্বাক্ষীদাতা যাচাই-বাচাই কমিটির সভাপতি

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করেছে কো-তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনে এ প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মুজিবনগর উপজেলার কো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ বলেন-নতুন করে যে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা হয়েছে তা টাকার বিনিময়ে করা হয়েছে। তাতে নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের নাম দেয়া হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ও হারুন-অর- রশিদ সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই না করে টাকা খেয়ে নিজেদের ইচ্ছামত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-কো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল ইসলাম, মো. ফেরদৌস, মো. বদর উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, মুক্তার আলী, মো. আব্দুল হাই, মো. শওকত ঘরামি, মো. আব্দুস সাত্তার, মো. নওফেল ইসলাম প্রমুখ ও কো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পরিজনবৃন্দ। তাদের অভিযোগ-মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও মুজিবনগর উজেলা নির্বাহী অফিসার দুর্নীতির মাধ্যমে প্রার্থীদের নিকট থেকে প্রচুর টাকা-পয়সা নিয়ে কাজ করেছেন। তারা কমপক্ষে ৫৫ জনের নিকট থেকে টাকা নিয়ে মাত্র ১৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। বাকীদের টাকা ফেরত দেয় নাই। প্রার্থীদের স্বপক্ষের স্বাক্ষীদের জবানবন্দী মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেছেন। তারা আরো বলেন-যাচাই-বাচাই কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান ১৯৭১ সালে ও তার পরবর্তী সময়েও ডাকাতি করতেন! তিনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি হন? ইতোপূর্বে তিনি রাজাকারদের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিয়ে নিজের চরিত্র জানান দিয়েছেন। তিনি কো-তালিকাভুক্ত ৮২ জনের নিকট থেকে আর্থিক লেনদেন করেছেন। তিনি আমাদের প্রতি ভিষণ অবিচার করেছেন। তারা আরো বলেন-আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ৮২ জনকে তালিকার পরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ৬ জন তার গ্রামের। কো তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আরো বলেন- আবারও নতুন করে যাচাই-বাছাই করে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাভুক্ত করা হোক।

Comments (0)
Add Comment