মেয়ের পিতা-মাতার সাথে যোগসাজস করে মনগড়া দেনমোহর বসানোয়া কাজির বিরুদ্ধে মামলা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিয়ের তিন বছর পর মেয়ের পিতা-মাতার সাথে যোগসাজসে মনগড়া দেনমোহর বসিয়ে ভুয়া কাবিননামা করায় কাজি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ছেলের পিতা ওহেদ আলী। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় কাজি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার গোবিন্দপুর দাসপাড়ার ওহেদ আলীর ছেলে মিল্টনের সাথে পাবনার ঈশ^রদীর গোকুলনগরের তাজুল ইসলাম পিন্টুর মেয়ে সাদিয়া আক্তার টুম্পার মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের সম্পর্ক গভীর হলে তিন বছর আগে টুম্পা বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক মিল্টনের বাড়িতে এসে ওঠে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মোবাইলে আলাপ-আলোচনার পর টুম্পার আত্মীয়-স্বজন আলমডাঙ্গায় চলে আসেন। এরপর দুই পরিবার রাজি হয়ে এক মৌলানার মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার সংসার শুরু করিয়ে দেন। এরপর তারা বছরখানেক সংসার করার পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বেশ কয়েক মাস আগে টুম্পা স্বামী মিল্টনকে ছেড়ে পিতার বাড়ি ঈশ^রদীতে চলে যায়। এরপর টুম্পার পরিবার আইনের আশ্রয়ে যেতে অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা অতিরিক্ত দেনমহর বসিয়ে কাবিননামা তৈরী করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ পরিকল্পনা সফল করতে তারা আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের কাজি আব্দুল সালামের দারস্থ হয়। কাজি আব্দুস সালাম ১৮ সালের মার্চ মাসের তিন তারিখ দেখানো কাবিননামা তৈরী করেন। কাবিননামায় দেড় লাখ টাকা দেনমোহর দেখানো হয়।
কাবিননামার ঘটনা জানাজানি হলে মিল্টনের পিতার টনক নড়ে। তিনি কাবিননামা ভুয়া দাবি করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কাজি আব্দুস সালাম অর্থের বিনিময়ে মনগড়া দেনমোহর বসিয়ে কাবিননামা তৈরী করে দিয়েছেন।

Comments (0)
Add Comment