সুদ ব্যবসায়ীর দৌরাত্মে দিশেহারা ওরা

গাংনী প্রতিনিধি: দরিদ্র পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের আনার শাহের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন একই গ্রামের কয়েকজন। অতিরিক্ত টাকাসহ আসল টাকা পরিশোধ করার পরও মিলছে না দেনা মুক্তি। রাজনৈতিক ও স্থানীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে টাকা আদায় করা হবে এমন হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আনার শাহ। ফলে চরম আসহায়ত্ব আর ক্ষমতার দাপট থেকে রেহাই পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী চারজন। আনার শাহের প্রতি আড়ালে ঘৃণা আর প্রতিবাদ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছে না গ্রামের মানুষ।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের বকুল হোসেন, কাবের আলী, সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল আলিম একই গ্রামের মৃত আজিজ শাহের ছেলে আনার শাহের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যথাসময়ে টাকা ফেরত দেন তারা। আনার শাহের দাবির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হয় তাদের। এরপরেও মিলছে না মুক্তি। সুদে টাকা দেয়া হয়েছিলো দাবি করে আনার শাহ আরও টাকা দাবি করছে ওই চারজনের কাছে। টাকা আদায়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তিনি। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আনার শাহ ভালো অবস্থানে থাকায় দরিদ্র অসহায় ওই চার ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারছে না। ফলে আতঙ্ক আর ভীতির মধ্যে সময় পার করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। জোরপূর্বক অথবা পুলিশ দিয়ে টাকা আদায় করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, নিজেকে সুদ ব্যবসায়ী দাবি করে আনার শাহ আরও টাকা দাবি করছেন। টাকা দিতে যতো দেরি হবে সুদ ততই বাড়তে থাকবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন তিনি। দরিদ্র এই চার পরিবারে পক্ষে টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে আনারের হাত থেকে মুক্তি মিলছে না। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে সু বিচারের দাবি জানিয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কাছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে আনার শাহের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম জানিয়েছেন, সুদ কারবার বেআইনী ও দ-নীয়। সুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment