প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা খোয়ালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মঞ্জু : অভিযুক্ত ৪ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোটার: সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের এক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কুশল বিনিময় ও মোবাইলফোনে আলাপচারিতায় মুগ্ধ হয়ে শেষ অবধি প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা বাড়িয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। সিরিয়া থেকে পার্সেলের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে কয়েকবারে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন মঞ্জু। এ মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ৪ প্রতারককে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা ইসলাম বাজারপাড়ার শহীদ মহাসিন আলীর ছেলে সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর ফেসবুকের ফেক আইডির মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার মৈসাদান গ্রামের আবু সায়েদের ছেলে ছরফুদ্দিনের (৪৫) সাথে। চলতে থাকে মেসেস আদান প্রদান। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত প্রতারক ছরফুদ্দিন নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে কর্মরত বলেও জানান মঞ্জুকে। মাহফুজুর রহমান মঞ্জুকে বন্ধু হিসাবে কিছু উপহার সামগ্রী পাঠাতে চান ছরফুদ্দিন। এরপর বিমানবন্দর কাস্টমস থেকে একটি ফোন আসে মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর কাছে। ফোনে জানানো হয় সিরিয়া থেকে একটি পার্সেল এসেছে ছাড় করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পার্সেল ছাড় করতে ৪৫ হাজার টাকা লাগবে বলেও জানানো হয়। যতক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন ততক্ষণে প্রতারকচক্রের ফাঁদে বিভিন্নভাবে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা খুইয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বাদী হয়ে গত ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ছরফুদ্দিনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৯ মাস ২৪ দিনের মাথায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই আব্দুর রহমান গত ২৯ জুন ঢাকা থেকে সাইফুর রহমান মিঠু নামের একজনকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় এসআই আ.রহমান খান জানান, এ পর্যন্ত এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বরিশালের ছরফুদ্দিনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো শরিফুল ইসলাম, গাজীপুরের অ্যাড মনিরুজ্জামান ও সাইফুর রহমান মিঠু। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানা গেছে। তবে ছরফুদ্দিনকে জেলগেটে ১ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অ্যাড মনিরুজ্জামানকে ২ দিনের পুলিশি রিমান্ডে এনেও করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।

 

Comments (0)
Add Comment