জাকেরের হাত ধরেই আসবে অনেক জয়’

মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান জাকের আলি অনিক ও শেখ মেহেদি হাসান। তারা পঞ্চম উইকেটে ৪৯ বলে ৫৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন।

মেহেদি ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফিরলেও ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে যান জাকের আলি। তিনি ৪৮ বলে এক চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

১২০ বলে ১৩৪ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪.৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেন ফাহিম আশরাফ। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় না পেলেও শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৮ রানের জয়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ।

দলের জয়ে জাকের আলি অনিকের ‍দুর্দান্ত ব্যাটিং নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার হান্নান সরকার বলেন, জাকের যখন ভালো খেলে, চাপের মুখে রান করে আমি তখন অবাক হই না। ও আসলে এমন পরিস্থিতিগুলো সামলে সামলেই জাতীয় দলে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, অন্য অনেকের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ ভালো খেলার কিছুদিন পরেই কিংবা যেকোনো একটা দুইটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি ওর। জাকেরকে আসতে হয়েছে সব ফরম্যাটের ভিন্ন ভিন্ন টুর্নামেন্টে নিয়মিত পারফর্ম করেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটা টেস্ট ম্যাচের কথা মনে পড়ছে। রান করতে কষ্ট হচ্ছিলো কমবেশি সবার। জাকের দুই ইনিংসেই নট আউট ছিল।

টেস্টের উদাহরণটা দেয়ার একটাই কারণ। ছেলেটা কখন কোন মানসিকতা নিয়ে খেলতে হয় তা জানে। আর জানে বলেই বিশ্বাস করি, ও একদিন খুব ভালো কিছু করবে। ওর হাত ধরেই আসবে অনেক জয়।