প্রথমার্ধে দারুণ খেলে ২-০ গোলের লিড নিয়েছিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মনে হচ্ছিল, যুব সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বড় এক জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দপতন। এতে উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুটা হয়েছে মালদ্বীপের বিপক্ষে হতাশাজনক ২-২ গোলের ড্র। গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোলের দেখা মেলে। প্রতিপক্ষের ভুল পাস কাড়েন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল, এরপর বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে এগিয়ে দেন দলকে। ২৪ মিনিটে সুমন সোরেনের শট ঠেকিয়ে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক, আর ২৫ মিনিটে একদম ফাঁকা পোস্ট পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন রিফাত কাজী। তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে মিঠু চৌধুরীর লব পাস থেকে হেডে গোল করেন রিফাত কাজী। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ইতালি প্রবাসী আব্দুল কাদির। কিন্তু নিজস্ব পজিশন উইংয়ের বদলে মিডফিল্ডে খেলানোয় সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। বল পেয়েছেনও কম, যেগুলো পেয়েছেন সেগুলোর বেশিরভাগই জোর করে ছিনিয়ে নিতে হয়েছে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে। তাই ৭১ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ ছোটন। তার আগেই মালদ্বীপ ঘুরে দাঁড়ায়। ৫৭ মিনিটে ইব্রাহিম নাসিরের ক্রস থেকে আনুফ আব্দুল্লাহর নিখুঁত শটে ব্যবধান কমায় তারা। আর ৭৩ মিনিটে অধিনায়ক আহজাম রাশিদের দারুণ পাস ধরে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ইব্রাহিম জাকি। শেষদিকে একেবারে নিশ্চিত গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মাহিন চমৎকার সেভ করে দলকে রক্ষা করেন হার থেকে। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ছোটনের দলকে। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ১১ মে, প্রতিপক্ষ ভুটান।