ভয় দেখানো আরব আমিরাতকে হারালো বাংলাদেশ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইমন ৫৪ বলে ১০০ রান করেন। মাত্র ৫৩ বলেই তিন অঙ্কে পৌঁছে তিনি হয়ে যান বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান। তার এই ইনিংসে ছিল নয়টি ছয় আর পাঁচটি চার। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ১৯১ রান। এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের মোট ছক্কা ছিল ১৩টি, যা এখন পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২টি ছক্কা ছিল আগের রেকর্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাত একপর্যায়ে ভালো অবস্থানে ছিল। আস্কিং রেট মেপে মেপে রান তুলছিল দলটা। ওপেনার ও অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন। তার সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন রাহুল চোপড়া, যিনি ২২ বলে করেন ৩৫ রান। এই জুটিই বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে ১২তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিব ওয়াসিমকে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ করিয়ে বড় ব্রেকথ্রু এনে দেন। এরপর ১৪তম ওভারে আবারো সাকিব আঘাত হানেন, এবার আউট করেন রাহুল চোপড়াকে। সেই যে ধসের শুরু, তা আর থামাতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষদিকে আসিফ খান কিছু বড় শট খেলে দলকে আবার ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। মাহেদী হাসানকে এক ওভারে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও পারেননি। হাসান মাহমুদ তাকে ২১ বলে ৪২ রানে থামিয়ে দেন। এই ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা আর তিনটি চার। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান, নেন ২টি উইকেট। তার শেষ দুটি ওভারে আসে মাত্র ৬ রান, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তাতে ভর করেই বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে জয়ের স্বস্তি নিয়ে।