কুষ্টিয়ায় দুই ভাইকে অপহরণের পর হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুরের গাংনীতে হলুদক্ষেত থেকে গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার মামলার রায়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা দুই ভাইকে অপহরণের পরে হত্যা মামলায় ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকু-ি গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে আসাদুল (২৭), একই এলাকার পাইলটের ছেলে সুমন (২২), মল্লিক ম-লের ছেলে ছাবের (৪০), আব্দুল বাসেদের ছেলে জামিল আহমেদ (৩৬) এবং মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামের হান্নান ম-লের ছেলে মিনাল (২০)। এ মামলার আসামি টোকন, জাহাঙ্গীর ও ইয়ারুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় হত্যার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসাদুল ও মিনাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশি পাহারায় তাদের কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম (২৪) ও মাসুম (২০) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার প্রয়াত মনছুর আলীর ছেলে। তারা ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঈদের পরদিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকু-ি এলাকায় নিজ নিজ শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। পরদিন সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কোদালকাটি মাঠের একটি হলুদক্ষেত থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতদের মা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার মৃত মনছুর আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম আসামিদের নামে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দেন। আদালতে দ-প্রাপ্ত দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে আপন দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

Comments (0)
Add Comment