জাতীয় ভোটার দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার: আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। তৃতীয়বারের মতো সারা দেশে দিবসটি পালন করা হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে এবার সীমিত পরিসরে ভোটার দিবস পালন হবে। এবারের ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বয়স যদি আঠারো হয়- ভোটার হতে দেরি নয়’। জাতীয় ভোটার দিবসে ‘২০২০ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের’ চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা আজ প্রকাশ করবে কমিশন।
তরুণ ভোটার অর্ঘ্য। পেয়েছেন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভুলের কারণে সেই পরিচয়পত্র দিয়ে তিনি কোনো কাজ করতে পারছেন না। ভোটার হওয়ার সময় ২ নম্বর ফরমে তিনি জন্ম সাল ১৯৯৯ লিখলেও ইসি ভুল করে সেই জন্ম সাল করেছে ১৯৮৯ সাল। সেই হিসাবে তার বয়স বেড়েছে ১০ বছর। ইসির এই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে এই তরুণকে। তিনি এই পরিচয়পত্র দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ করতে পারছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ভোটার নিজের সব তথ্য সঠিকভাবে দিলেও ইসির কর্মীরা ভুল করেছেন। তিনি এই ভুল সংশোধনের জন্য কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য সাভার নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দেন শামসুন্নাহার। তিনি তার স্বামীর নামের সংশোধন করতে দিয়েছিলেন। মূলত তার স্বামীর নাম জালাল উদ্দিন। ইসির কর্মীরা ভুল করে তা হালাল উদ্দিন লিখেছেন। এই ভুল সংশোধনের জন্য কাগজপত্র ও দলিলাদি দিয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ৫ বছর ৪ মাসেও তিনি সেই সংশোধন করতে পারেননি। এই ভোটার সম্প্রতি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন। আসলে তার আবেদনপত্র হারিয়ে গেছে ইসির অফিস থেকে। যদিও কমিশন থেকেই সেই বিষয় তাকে জানানোও হয়নি। এই ভোটারের প্রশ্ন ইসির ভুলের দ্বায় কার? আরও কত দিন এই সংশোধনীর জন্য তাকে ভোগান্তি পোহাতে হবে? গত বৃহস্পতিবার ইসির ইটিআই ভবনের নিচে কথা হয় ফারুক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তার মেয়ের বয়স ইসি ভুল করে ১০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসির এই ভুলের জন্য আমরা বিপদে পড়েছি। মেয়েকে বিয়ে দেবো। বিয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। তাই সংশোধন করতে এসেছি। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নয়। নতুন ভোটার হওয়া, পরিচয়পত্র হারিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ইসিতে শত শত লোক আসেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা নির্বাচন অফিসেও এসব সমস্যা নিয়ে মানুষ ভিড় করেন। কিন্তু তারা সঠিক কোনো সমাধান পান না। বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনীর বিষয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। তিন-চার বছরেও সংশোধন হয় না। আবার ফাইল হারিয়েও যায় অনেক ভোটারের। এ ছাড়া প্রবাসীরাও ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে নানা হয়রানির শিকার হন।

Comments (0)
Add Comment