তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক : জাগ্রত হোক দেশপ্রেম

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার: ‘বাঙালি বীরের জাতি’ মন্তব্য করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্ত ধারায়। যতবারই আঘাত এসেছে, বাঙালি আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ সময় কবির ভাষায় তিনি বলেন, ‘যতবারই হত্যা করো, জন্মাবো আবার; দারুণ সূর্য হবো, লিখবো নতুন ইতিহাস।’ শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী-এ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরের ঘাতকের গুলিতে নিহতদের স্মরণ, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এবং যাদের জমি সেতু প্রকল্পে পড়েছে তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে যারা নানা সময়ে বাধা সৃষ্টি করেছেন তাদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমি আশা করি, সেতুর কাজ বন্ধ করতে যারা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে বা বাধা দিয়েছে, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। দেশের মানুষের প্রতি তারা আরও দায়িত্ববান হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, আমার কোনো অনুযোগ নাই। তাদের হয়তো চিন্তার দৈন্য আছে, আত্মবিশ্বাসের দৈন্য আছে। আমি মনে করি, আজ থেকে তাদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে যে বাংলাদেশ পারে।’ উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে, যার অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।’ দেশের মানুষকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের সমর্থন আর সাহসেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কঠিন কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। সেই সঙ্গে আমিও আনন্দিত এবং গর্বিত, উদ্বেলিত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর এক বিদেশি সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাংলাদেশের কোনো সম্পদ নেই, আপনি কীভাবে দেশ গড়ে তুলবেন?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, তাই দিয়ে দেশ গড়বো।’ সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের অর্থনীতি সচল আছে। অনেক প্রকল্প নিয়েছি। পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মোকাবিলা করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ মোকাবিলা করেও গতিশীল আছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ। জনগণ সাহসের ঠিকানা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে আমরা মাথা নোয়াইনি। আমরা কখনও মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা শেখ মুজিব কখনও মাথা নোয়াননি, মাথা নোয়াতে শেখান নাই। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন।’ অনেক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, সে কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘সাবাস বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, আমরা বিজয়ী হয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘এই সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এই সেতু দুই পাড়ের যে বন্ধন সৃষ্টি করেছে তা নয়, এই সেতু শুধু ইট, সিমেন্ট, স্টিল, লোহা, কংক্রিটের একটা অবকাঠামো নয়, এই সেতু আমাদের অহংকার, এই সেতু আমাদের গর্ব। এই সেতু আমাদের সক্ষমতা, আমাদের মর্যাদার শক্তি। এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং আমাদের প্রত্যয় যে আমরা এই সেতু তৈরি করবই। সেই জেদ, সেই প্রত্যয়।’ পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনেক বাধা আসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, এ সেতু নির্মাণ করতে যখন আমরা যাই, অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়, মিথ্যা অপবাদ, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে একেকটি মানুষ, একেকটি পরিবারকে যে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে; আমার ছোট বোন শেখ রেহানা, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আমার মেয়ে সায়মা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা, যাকে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলাম ড. মসিউর রহমানকে, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়, তাদের পরিবারসহ যে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে, আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।’ ষড়যন্ত্রের কারণে সেতু নির্মাণ করতে প্রায় দুই বছর দেরি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনও হতোদ্যম হইনি। হতাশায় ভুগিনি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছি এবং শেষ পর্যন্ত সব অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি রঙের আলোর ঝলকানি। ৪২টি স্তম্ভ যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন।

 এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সেই ২০০১ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ এ সরকারে এসে আবারও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন তারা কী বলেছিল? বলেছিল, আওয়ামী লীগ কোনোদিনও নাকি পদ্মা সেতু করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করি আসুন, দেখে যান পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কি-না? আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী লোক ছিল, অর্থনীতিবিদ, বড় বড় আমলা ছিলেন, সবাই বলেছেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু সম্ভব নয়। আজকে নিজেদের টাকায় কীভাবে করতে পারলাম?’ জাতির পিতাকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার যাত্রা যখন শুরু করলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন। এই সময়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ করেন। যখন দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত ক্ষমতা নিয়ে যান, দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। রেহানা ও আমি বিদেশে ছিলাম। দেশে আসতে পারিনি। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করে। শত বাধা পেরিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আসি। আমার লক্ষ্য জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করা। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আজকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে আমরা বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। প্রতিটি এলাকায় স্কুল করে দিচ্ছি, কলেজ করে দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়ে শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়ে মানুষের ঘরের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ওয়াদা ছিল প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বলবে। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব বলে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলাম। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে মোবাইল ফোন। সবাই আজকে অনলাইনে কেনাবেচা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। উন্নত জীবন যাতে সবাই পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেওয়ার পর যখন আমি উদ্যোগ নিলাম, আপনাদের সাহস, আপনাদের শক্তি, জনতার শক্তি। সেই শক্তিই ছিল আমার শক্তি। আর সেই শক্তি নিয়েই কাজ করেছিলাম। আজকে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না।’

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অতীতে ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পদ্মা নদী খরস্রোতা। এই নদী পার হতে যেয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না। বাবা-মাকে হারাতে হবে না। ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে আপনারা নির্বিঘনে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আর যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে উপযুক্ত একটা জবাবত্ম এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে আমরা দিতে পারলাম। বাংলাদেশ পারে।’

উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আমার একমাত্র শক্তি আপনারাই। আমার একমাত্র শক্তি বাংলার জনগণ। বাবা-মা-ভাই-বোন সব হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে ফিরে এসেছিলাম এই বাংলাদেশে। সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেরিয়েছি। নৌকায় করে এক-একটা এলাকায় গিয়েছি। কাদা-পানিতে নেমেছি। মিটিং করেছি।’

সরকার সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এখানেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। শিল্প কলকারাখানা হবে। আমাদের ফসল উৎপাদন হবে। সেই ফসল আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারবো। দেশে-বিদেশে রফতানি করতে পারবো। আমাদের মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ করে দেশে-বিদেশে রফতানি করতে পারবো। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ ঘুচে যাবে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। অনন্ত ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। সেটা আমরা করতে পারবো। এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড হবে।’

সিলেটের বন্যার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্যার সঙ্গে আমাদের বসবাস। সিলেটে বন্যা হয়েছে। আমরা সেখানে ত্রাণ পাঠিয়েছি। এখন বর্ষাকাল। আমাদের এই অঞ্চলে বন্যা হতে পারে। এখন থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনারাও প্রস্তুতি নেবেন। যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার শক্তি বাংলাদেশ রাখে। বাংলাদেশের জনগণ রাখে। সেই ব্যবস্থাও আপনাদের নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। সব মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দেবো। আমরা তা দিচ্ছি।’

দেশবাসীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেনো পড়ে না থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আজকে সারা বিশ্ববাপী খাদ্যের অভাব। বাংলাদেশে যেনো খাদ্যের অভাব না হয়, সেজন্য যার যেটুকু জমি আছে, যে যা পারেন তাই উৎপাদন করবেন। নিজে খাবেন অপরকে দেবেন। বাজারে পাঠাবেন। কোনও জায়গায় এক ইঞ্চি জমি বাদ না যায়, সেভাবে কাজ করবেন। এই দেশ আপনাদের। এই দেশ আমাদের। জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা-মা সব হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝে খুঁজে পেয়েছি বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ। আপনাদের পাশে আমি আছি। আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনও ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম। আপনাদের জন্য প্রয়োজনে আমার নিজের জীবনটা দেবো। সবার কাছে দোয়া চাই, যেনো পিতার স্বপ্ন পূরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’ এ সময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে আবেগাপস্নত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’ জাজিরা প্রান্তে সেতুর মোড়ক উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর একপাশে তার অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং অপর পাশে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

Comments (0)
Add Comment