দর্শনা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নের সকল প্রক্রিয়া চলছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, দর্শনা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নের সকল প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এ বন্দর উন্নয়নে কাজ করছে এনবিআর।
তিনি আরও বলেন, বন্দর দিযে শুধু আমদানি করলেই হবে না। রফতানিও করতে হবে। তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এ জন্য রফতানিমুখি শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দর পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ দিন সকালে বিমান যোগে তিনি প্রথমে যশোর আসেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনে যান। সেখানে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। কাস্টমস এর পক্ষে শুভেচ্ছা জানান দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মো. শাফায়াত হোসেন। এরপর দর্শনা কাস্টমস হাউজ ও আধুনিক রাজস্ব একাডেমি নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়সভায় মিলিত হন। তারপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়নগর অর্থাৎ দর্শনা চেকপোস্টে আসেন। এসময় তাকে দর্শনা পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, সাংবাদিক রেজাউল করিম লিটন, আশরাফুল হক উলুম ও ওমর আলী মেম্বার।
জয়নগরে সীমান্তে ঘুরে ঘুরে ভারতের সাথে লিংক রোড এবং সকল অবকাঠামো ও বন্দরের টার্মিনাল-ওয়্যার হাউজ নির্মাণের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ সময় এনবিআর’র ৩ জন সদস্য, যশোর কমিশনারেটের কমিশনারসহ ১১ সদস্যের টিম ছিলেন চেয়ারম্যানের সাথে।
প্রসঙ্গত; মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনকে ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। উদ্দেশ্য হলো- এ সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহজীকরন। দর্শনায় ১৯৬২ সাল থেকে রেলওয়ে ওয়াগনের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ মোতাবেক ভারত থেকে রেলপথে দর্শনা শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে গবাদিপশু,মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ টিম্বার, চুনাপাথর, পিয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টজ, চাল ভূষি, ভুট্টা, বিভিন্ন প্রকার খৈল, পোল্ট্রি ফিড, ফ্লাই অ্যাশ, রেলওয়ে স্লিপার, বিল্ডিং স্টোন, রোড স্টোন, স্যান্ড স্টোন, বিভিন্ন প্রকার ক্লে, গ্রানুলেটেড স্লাগ ও জিপসামসহ ৩৬টি পণ্য আমদানি এবং সকল প্রকার পণ্য রফতানির অনুমোদন আছে এবং কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার পাসপোর্টধারী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। ঢাকা-কোলকাতা চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এ রুটে চলাচল করে।
বর্তমানে ভারত অংশে শুধুমাত্র ৮শ’ মিটার রাস্তা প্রশ^স্থ করলেই দর্শনা-গেঁদে শুল্ক স্টেশন দিয়ে মুহূর্তেই সড়ক পথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। যেহেতু রেলপথে এখান থেকে আমদানি-রফতানি চালু আছে ১৯৬২ সাল থেকে সেহেতু বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেঁদেই সকল অবকাঠামো ও জনবল বিদ্যমান রয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment