দোকানপাট শপিংমল আজ থেকে খোলা : স্বাস্থ্যবিধি মানতে হুঁশিয়ারি

আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা বেচাকেনা চলবে

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞার (লকডাউন) মধ্যে এবার শপিংমল ও দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসাপেক্ষে আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে সীমিত আকারে গণপরিবহণ চালু করে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবারও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না-করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জানানো হয়। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ কতোদিন থাকবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। করোনার বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগের নির্দেশনার আলোকে নতুন নতুন নির্দেশনা জারি করে।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে সরকার। ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। এ বিধিনিষেধ পালনের জন্য ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়: শপিংমলসহ অন্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবেন না। তবে নিত্যপণ্যের দোকান ও জরুরি সেবার যানবাহন চলবে। গণপরিবহণও বন্ধ রাখা হয়। কঠোর নিষেধাজ্ঞা শুরু হলে গণপরিবহণ না-পেয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। বিভিন্ন স্থানে তারা বিক্ষোভ করেন। একইসঙ্গে দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দিতেও আন্দোলন শুরু করেন মালিক-শ্রমিকরা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহণ চলার ঘোষণা দেয়া হলেও শপিংমল ও দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত না-হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আন্দোলন চলছিলো। বৃহস্পতিবারও আন্দোলন করেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবারও রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা।

Comments (0)
Add Comment